এই কর্মসূচির বিষয়ে আদিবাসী কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাত বলেন, "ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে এই সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবসা করেন পুরুলিয়ার মানুষ। ডিজে চালানোর ক্ষেত্রে বর্তমানে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ জারির ফলে ব্যবসায়ীরা হামেশাই হেনস্থার শিকার হচ্ছে। ডিজে সিস্টেম বাজেয়াপ্তের নামে যখন তখন তাঁদের দামি বাদ্যযন্ত্রগুলো প্রশাসনের পক্ষ থেকে নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে পড়তে হচ্ছে পুরুলিয়ার ডিজে ব্যবসায়ীদের।"
advertisement
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়িকে সাহায্য করতে গিয়ে এ কী পেল পুলিশ! জানলে আপনিও চমকে উঠবেন
পুরুলিয়ার সাউন্ড ওনার অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, সুষ্ঠুভাবে তাঁদের ব্যবস্যা করতে দেওয়া হোক। প্রয়োজনে তাঁরা ডিজে সিস্টেম বন্ধ করে দিতেও রাজি আছেন। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে দেওয়া ডেপুটেশনে এই কথাই তুলে ধরা হয়।
ঘটনা হল, বর্তমানে একশ্রেণির মানুষের মনোরঞ্জনের ক্ষেত্রে ডিজের চাহিদা যথেষ্ট। বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান হোক অথবা পুজোর বিসর্জন, ডিজে আজকাল আবশ্যিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডিজের তালে নাচতে বহু মানুষ যেমন পছন্দ করেন, তেমনভাবেই অনেকেই এই ডিজের শব্দে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে ডিজে ঘিরে বিতর্ক আছে। এই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করার স্বার্থে পুরুলিয়ার সাউন্ড ব্যবসায়ীরা ডিজে বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলায় এক বড় পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
শর্মিষ্ঠ ব্যানার্জি