পুরুলিয়া শহরের ১ নম্বর ব্লকের মাগুরিয়া গ্রামে বেশ কয়েকটি পরিবার বাড়ির মধ্যেই ফুলকপি চাষ করছেন। শীত পড়ার আগেই আষাঢ় মাস থেকে ফুলকপির বীজ রোপণের কাজ শুরু হয়ে যায়। দেশি হাইব্রিড সমস্ত ধরনেরই ফুলকপির চাষ হয় এই সকল এলাকায়। পুরুলিয়া শহরের বড় হাট সহ বিভিন্ন হাটে ফুলকপি বিক্রি করে মুনাফা লাভ করেন চাষিরা।
advertisement
আরও পড়ুন : পুতুল কথা বলছে! সমাজ সচেতনতার বার্তা দিতে নয়া উদ্যোগ জলপাইগুড়িতে
মাগুরিয়া গ্রামের এক শিক্ষক তথা চাষী বাসুদেব মাহাত জানান, "বংশপরম্পরায় তারা এই ফুলকপির চাষ করেছেন। প্রায় ৮ বিঘা জমির উপর ফুলকপি চাষ করা হয়েছে। এবছর পরিবেশ প্রতিকূল না থাকার কারণে ফুলকপির চাষ আগের তুলনায় অনেকটাই কম হয়েছে।" কপির আকৃতিও তুলনামূলক ছোট হয়েছে ফলে মুনাফা কম হবে বলে মনে করছেন তিনি। কৃষি দপ্তর থেকে সহযোগিতা পেলেও জলের সমস্যায় ভুগছেন বেশ কিছু চাষী। কৃষি দপ্তরের কাছে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : ব্যাঙ্ক থেকে ফেরার পথে ৮০ হাজার চুরি! পরপর ছিনতাইয়ের ঘটনায় আতঙ্ক এলাকায়
এ বিষয়ে পুরুলিয়া এক নম্বর ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা তন্ময় সাহা বলেন, "শীতের মরসুম সবে মাত্র শুরু হয়েছে সেক্ষেত্রে শীতকালীন ফসলগুলির পরিচর্যা যথাযথ সময়ে যদি না করা হয় তাহলে ছত্রাকজনিত কারণে ফুলকপির আকৃতি অনেক ছোট হবে। সেক্ষেত্রে চাষীদের অনুরোধ করা হচ্ছে তাঁরা যেন যথাযথ সময়ে বীজ শোধন করেন।" এরই পাশাপাশি তিনি জলের সমস্যার বিষয়ে বলেন। প্রাকৃতিকভাবেই পুরুলিয়ার জলের সমস্যা রয়েছে। সেক্ষেত্রে কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে বিন্দু সেচে বা ফোয়ারা সেচের মাধ্যমে বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাই শুধুমাত্র সরকার জিএসটির টাকা ধার্য করেছে, বাকি সম্পূর্ণই বিনামূল্যে করা হচ্ছে। এই সুবিধা উপভোগ করার জন্য চাষিরা 'ই-কেওয়াইসি'র মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন অথবা কৃষি দপ্তরে এসে যোগাযোগ করতে পারেন।
লাল মাটির দেশ পুরুলিয়া তবে এখানে মরসুমি সবজি চাষ যথেষ্টই উল্লেখযোগ্য। কিন্তু কৃষকদের আরও একটু সচেতন হওয়া প্রয়োজন। কৃষি দপ্তরের উদ্যোগ মিলেমিশে আরও শস্য-শ্যামলা করে তুলতে পারে পুরুলিয়ার শুষ্ক মাটিকে।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি