দীর্ঘদিন পর পুরুলিয়ার ঝালদার মেরি আপকার ময়দানে হাজির হয়েছে রোলেক্স সার্কাস। কিন্তু সেরকম দর্শকের দেখা মিলছে না সার্কাসে। চিন্তার ভাঁজ পড়েছে শিল্পীদের কপালে। এ বিষয়ে সার্কাস শিল্পীরা জানান , ধীরে , ধীরে সার্কাসের পরিস্থিতি খুবই খারাপ দিকে যাচ্ছে। সরকারিভাবে যখন থেকে সার্কাসে জীবজন্তুর খেলা দেখান বন্ধ হয়েছে তখন থেকেই সার্কাসের পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই গিয়েছে। একটা সার্কাসে কমপক্ষে ৭০ থেকে ৮০ জন কর্মচারী ও কলাকৌশলী থাকে। সার্কাস চলুক বা না চলুক মালিককে তাদের সমস্ত খরচ বহন করতে হয়। লকডাউনের সময়ও অনেকটাই সংকটের মুখে পড়তে হয়েছিল শিল্পীদের। ধীরে , ধীরে সার্কাস সর্বত্র চালু হলেও দর্শকদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে তাদের।
advertisement
আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুর ‘জালিকাট্টুর’-র স্বাদ পুরুলিয়ার কাড়া লড়াইয়ে, শীতের হাত ধরেই ‘খেলা’ শুরু
সার্কাস কর্তৃপক্ষের বক্তব্য , সার্কাসের অবস্থা বর্তমানে একেবারেই ভাল নেই। কলাকৌশলীদের কারিশমাতে চলছে সার্কাস। সার্কাস একটি পরিবার যেখানে জাতি , ধর্ম , বর্ণ নির্বিশেষে সকলে একত্রিত হয়ে নিজেদের জীবন চালাচ্ছেন। সার্কাস শিল্পীদেরও শিল্পী ভাতা দেওয়ার আবেদন করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: দোকানের চপ বিখ্যাত, তাই বিক্রেতার নামেই হল রাস্তা!
একটা সময় ছিল হাতির গর্জনে ও সার্চ লাইটের আলোয় এলাকার মানুষ জানতে পারতেন সার্কাস এসেছে। কিন্তু এখন সেসব অতীত। বর্তমানে জীবজন্তুর খেলা দেখতে পাওয়া যায় না সার্কাসে। নবপ্রজন্মের ছেলেমেয়েরা সার্কাসের প্রতি সেই ভাবে আগ্রহ দেখায় না। ধীরে , ধীরে জৌলুস কমছে সার্কাসের। সার্কাসের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন শিল্পীরা।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি