বাংলা শস্য বিমার উপযোগিতা সম্বন্ধে কৃষকদের সচেতন করতে পুরুলিয়া জেলা কৃষি দফতরের তত্ত্বাবধানে একটি ট্যাবলোর উদ্বোধন করা হয়। জেলাশাসকের দফতর থেকে এই ট্যাবলোর সূচনা হয়। ট্যাবলোটি জেলার ২০ টি ব্লকে ঘুরে ঘুরে চাষিদের শস্য বিমা সংক্রান্ত বার্তা পৌঁছে দেবে। এই বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলার কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে রাজ্য সরকার নানান সময়োচিত পদক্ষেপ করছে। এই প্রকল্পের ফলে কৃষকরা ক্ষতির হাত থেকে অনেকটাই রক্ষা পাবে।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৫০ কোটির অ্যাপ জালিয়াতি কাণ্ডে গ্রেফতার মূল চক্রী ‘গরুর ডাক্তার’!
কোনও কৃষক বাংলা শস্য বিমায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে চাইলে প্রথমে তাঁকে অনলাইন এর জন্য আবেদন করতে হবে।
এর আবেদন পদ্ধতি হল:
• প্রথমে অনলাইনে ‘বাংলা শস্য বিমার’ ফর্ম ডাউনলোড করতে হবে।
• এরপর সেই ফর্মে কৃষকের নাম ও ঠিকানা লিখতে হবে। ভোটার আইডি নম্বর উল্লেখ করতে হবে। জেলা ও গ্রামের বা মৌজার নাম দিতে হবে। ফসল ও জমির বিবরণ বিস্তারিতভাবে দিতে হবে। প্রথমে কী কী ফসল নষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা লিখতে হবে।
• ব্লক ও পঞ্চায়েতের নাম সঠিকভাবে লিখতে হবে। এই পর মৌজার নাম ও জে এল নম্বর লিখতে হবে। জমির দাগ নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
• কত জমির উপর চাষ করছেন তা সঠিকভাবে জানাতে হবে। নিজের জমি নাকি অন্যের জমিতে ভাগি চাষি সেটিও লিখতে হবে। ফসল সম্ভাব্য রোপনের তারিখ লিখতে হবে। কত টাকার ফসল নষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা উল্লেখ করতে হবে। সর্বশেষে কৃষকের মতামত লিখে সেটি জমা করতে হবে।
• এর পাশাপাশি কৃষকের ভোটার আইডি, আধার কার্ড, জব কার্ড, ব্যাঙ্কের পাস বই বা কেসিসি পাস বই (ছবি সহ), অ্যাকাউন্ট নম্বর সহ ব্যাঙ্কের বই-এর প্রতিলিপি জমা করতে হবে। জমির খতিয়ান বা পরচা অথবা পাট্টা বা দলিলের নকল। যারা অন্যের জমি চাষ করেন তাঁদের স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছ থেকে লিখিয়ে আনতে হবে কতটুকু জমি চাষ করছেন এবং তার উপর জমির আসল মালিকের সই বাধ্যতামূলক।
শমিষ্ঠা ব্যানার্জি