কুলেখাড়া বাংলার বাংলার ঘরে ঘরে অতি পরিচিত শাক। ঔষধি গুণও মারাত্মক! নানাবিধ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা থাকার কারণে কুলেখাড়া বহু মানুষ তাদের খাদ্য তালিকায় রেখেছে। সারা বছর সুস্থ থাকতে কুলেখাড়া পাতা সেদ্ধ বা থেঁতো করে রস খাওয়া অত্যন্ত অপরিহার্য। কী কী গুণ রয়েছে কুলেখাড়ায়, এমেনিয়া বা রক্তাল্পতা যাদের আছে, তাদের ক্ষেত্রে কুলেখাড়ার শাকের রস অত্যন্ত উপকারি।
advertisement
আরও পড়ুন: আপনার সোনায় ৬ সংখ্যার হলমার্ক আছে? না থাকলে কী করবেন দেখে নিন!
কুলেখাড়া রস শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। কুলেখাড়া রস খেলে শরীরের দ্রুত হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে।পায়ের চেটো বা শরীরের কোনও অংশ ফুলে উঠলে কুলেখাড়া পাতার রস গরম করে দিনে ২ বার মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। কোনও কারণে কেটে গেলে, রক্তপাত বন্ধ করতে কুলেখাড়া অপরিহার্য। কুলেখাড়া পাতা থেঁতো করে কাটা জায়গায় চেপে বেঁধে দেওয়া হলে রক্তপাত বন্ধ হয়। ছাড়াও এই শাকের শিকড়ও ভেষজ গুণসমৃদ্ধ।
বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুন থাকার জন্য কুলেখাড়ার চাহিদা সারা বছরই রয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন হাটে বাজারে কুলেখাড়া শাক বিক্রি হয়। ফলে এই শাক অত্যন্ত লাভজনক। নন্দকুমার ব্লকের কামারদা গ্রামের বনমালী সাহু প্রায় সাত থেকে আট বছর ধান চাষের জমিতে ধানের পরিবর্তে কুলেখাড়া চাষ করছেন। তিনি জানান, ' দু বিঘা জমিতে সাত থেকে আট বছর কুলেখাড়া চাষ করছেন। হাটে বাজারে চাহিদা রয়েছে ভালোই।
নিজেই হাটে বাজারে বসে বিক্রি করেন ও পাইকারি ভাবেও বিক্রি করেন। এই চাষের খরচ অন্যান্য চাষের তুলনায় অনেকটাই কম। বছরে এক বিঘা জমিতে কুলেখাড়া চাষ করে প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার পাওয়া যায়।' বর্তমানে নন্দকুমারের বনমালী সাহু কে দেখে বেশ কিছু জন এই বিকল্প কুলেখাড়া চাষ করছেন।
Saikat Shee





