বর্তমানে নদী দূষণ পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের উপর ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলছে। এর ফলে বিভিন্ন প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ-প্রাণী ও মাছ বিলুপ্ত হতে বসেছে। এর প্রভাব মানুষের মধ্যেও পড়েছে। এই অবস্থায় নদীগুলির দূষণ কমাতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবেই হলদিয়ায় এই বিশেষ কর্মসূচি আয়োজিত হল।
আরও পড়ুন: বিপুল ই-বর্জ্যের পরিণতি কী? পথ খুঁজতে বৈঠক
advertisement
হলদিয়ার টাউনশিপ আইওসি ক্লাবের সামনে থেকে ‘ক্লিন গঙ্গা, সেভ গঙ্গা’ বার্তা দিয়ে মিনি ম্যারাথনের সূচনা করেন হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার কোন্থাম সুধীর। অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও রাজস্ব) অনির্বান কোলের নেতৃত্বে প্রশাসনের আধিকারিক, বিভিন্ন শিল্প সংস্থার আধিকারিক এবং স্কুল পড়ুয়া ও সাধারণ মানুষজনও ম্যারাথনে অংশ নেয়। ম্যারাথন শেষ হয় হলদি ও হুগলি নদীর সঙ্গমস্থলে টাউনশিপ মেরিন ড্রাইভের কৃষ্ণার্জুন ঘাটে। সেখানে এক ঘণ্টার একটি যোগা শিবির হয়।
জেলা গঙ্গা কমিটির কর্মকর্তা তথা জেলা বন আধিকরিক অনুপম খাঁ জানান, জেলার নদী ও তার উপকূল এলাকার মানুষকে নদী দূষণ নিয়ে সচেতন করতে এই কর্মসূচী ইতিমধ্যেই আয়োজিত হয়েছে দিঘা ও গেঁওখালিতে। নদীতে প্লাস্টিক দূষণ ঠেকাতে জোর দেওয়া হচ্ছে। হলদিয়ায় নদীতে শিল্প বর্জ্যের পাশাপাশি পুর এলাকার প্লাস্টিক জাতীয় বর্জ্য মিশছে। ফলে নদীর জল দূষিত হচ্ছে। এদিনের এই ক্লিন গঙ্গা সেভ গঙ্গা কর্মসূচির মাধ্যমে নদীর দূষণ কীভাবে রোধ করা যায় তার বার্তা দেওয়া হয়।
নদী বাঁচানোর লক্ষ্যে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজে হাত লাগান প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। জেলা গঙ্গা কমিটির উদ্যোগে নবমি গঙ্গে প্রকল্পে গঙ্গাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার সচেতনতার বার্তা তুলে ধরা হয়।
হলদিয়াজুড়ে নদী তীরবর্তী এলাকায় লক্ষ লক্ষ টাকা খরচে বনায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া নেওয়া হয়েছে জেলা বন দফতরের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যেই প্রচুর সংখ্যক গাছ লাগানো হয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকায়। বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আগে হলদিয়ায় নদী বাঁচানোর লক্ষ্যে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। সেই সঙ্গে নদী বাঁচানোয় প্রশাসনিক কর্তাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও সই করে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়।
সৈকত শী