মহিষাদলের কেশবপুর মাইতি পরিবারের দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল প্রায় ৩৫০ বছর আগে। এই পুরানো পারিবারিক পুজোকে ঘিরে মেতে ওঠেন কয়েক হাজার মানুষ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এটি একটি বিশেষ আকর্ষণীয় পুজো প্রাচীনত্বের কারণে। একসময় ণাইতি বাড়ির এই পুজো যে সমস্ত নিয়ম মেনে শুরু করা হয়েছিল আজও সেই নিয়মেই চলে আসছে পুজো। জমিদার বাড়ির জমিদারি না থাকলেও এই পুজোর কটা দিন তারা ধরে রাখেন তাদের ঐতিহ্যকে। হাজার সমস্যা থাকলেও কাটছাঁট হয় না পুজোর আয়োজনে আজও।
advertisement
আরও পড়ুন: শতবর্ষ আগে বনেদি বাড়ির পুজো কেমন ছিল? ‘হে দোলা’ থিমে ফুটে উঠল সেই ঐতিহ্য
মাইতি পরিবারের এই পুজো প্রথমদিকে হত ঘট প্রতিস্থাপন করে। কিছু বছর ঘট পুজো হওয়ার পরে শুরু হয় প্রতিমা পুজোও। প্রতি বছর একই কাঠামোয় এখানে তৈরি করা হয় প্রতিমা । শুধু পুজোর দিন নয়, অন্যান্য দিনগুলোতেও দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন মাইতি বাড়িতে মা এর পুজো দিতে।
আরও পড়ুন: ইংরেজদের পুড়িয়ে দেওয়া জমিদার বাড়ি, দিঘার পাশে এই দুর্গাপুজোর ইতিহাস চমকপ্রদ
কালের নিয়মে পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেড়েছে। যৌথ পরিবার ভেঙে অনেকগুলি পরিবার তৈরি হয়েছে। বর্তমান সময় ১২ টি পরিবার মিলে এই পুজোর খরচ সামলান। অষ্টমীর দিন প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার লোকের ভিড় হয় পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার জন্য। এক কথায় রাজবাড়ি বা জমিদার বাড়ির আভিজাত্য না থাকলেও বিশ্বাস এবং ভক্তির মিছিলে অনন্য মহিষাদলের কেশবপুরের মাইতি বাড়ির পুজো।
সৈকত শী