আরও পড়ুন: জংলা ছাপের খাকি উর্দি পরা বাহিনী এখনও টহল দিচ্ছে, বেজায় খুশি আমজনতা
পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূলকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে বিজেপি। বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত তারা ছিনিয়ে নিয়েছে। আর তা নিয়েই এমন বিতর্কিত মন্তব্য করলেন সেখানকার বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “ব্লকের কয়েকটা গ্রাম পঞ্চায়েত জিতে লম্ফঝম্প শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ ও রাজ্যে আমরা আছি। ওদেরকে পেছন বেঞ্চে বসে থাকতে হবে।” শুধু তাই নয়, বিজেপির জেতা অঞ্চলগুলোয় আগামী দিনে উন্নয়ন থমকে থাকবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। যদিও বিধায়কের এমন মন্তব্যকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা।
advertisement
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মহিষাদলের ইটামগরা-২ পঞ্চায়েত, রমনিমোহন পঞ্চায়েত ও বেতকুন্ড পঞ্চায়েত এককভাবে দখল করেছে বিজেপি। তারপরই এমন বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূল বিধায়কের। যদিও পঞ্চায়েতের জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের বক্তব্য, জনগণের ভোটে তাঁরা জিতেছেন। কীভাবে এলাকার উন্নয়ন করতে হয় সেটা জানা আছে। বিধায়কের কথায় গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই বলেও তাঁরা জানান। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপ দাস বলেন, তৃণমূল সর্বভারতীয় দল থেকে আঞ্চলিক দলে পরিণত হয়েছে। দু’দিন পরে দলটাই উঠে যাবে। আমরা দুর্নীতি মুক্ত মুক্ত পঞ্চায়েত গঠন করব। জনগণ বিজেপিকে আর্শীবাদ করেছে। মানুষের উন্নয়ন করবে বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত।
গণতন্ত্রে শাসক ও বিরোধী দল পাশাপাশি অবস্থান করবে, কিন্তু উন্নয়নের কাজ ও সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে তার কোনও প্রভাব পড়বে না। এটাই কাম্য ও আদর্শ উদাহরণ। সেখানে বিরোধীরা গাঁটে গোনা কয়েকটা পঞ্চায়েত দখল করতেই কেন তৃণমূল বিধায়ক এমন ফুঁসে উঠলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের বক্তব্য, তিলক কুমার চক্রবর্তীর এমন মন্তব্যই বুঝিয়ে দিচ্ছে বাংলার শাসক দল ‘সবটা’ দখল করতে চায়। বিরোধীদের কোনও পরিসর ছাড়তে রাজি নয়। এই ধরনের মন্তব্য আদতে বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয় বলেও তাঁরা জানিয়েছেন।
সৈকত শী