ঠিকেদারের অধীনে কাঠের কাজ করার জন্য কোলাঘাটের রেণুবাড় গ্রামের শেখ মুজিবর (৩০), সৈয়দ সানি (১৯), শেখ সোহেল (১৮) অরুনাচলের সদ্য দিবাং ভ্যালিতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁদের দিন তিনেক আগে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় বলে পরিবারের দাবি।
সূত্রে খবর, কাজের পর রাতে ঘুমানোর সময় হঠাৎ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, শনিবার ফোন করে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারকে এমন কথা বলা হয়। রবিবার তাঁরা প্রকৃত ঘটনা জানতে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করলেও যারা ফোন করেছিল তাদের মোবাইল সুইচ অফ বলে। মৃত তিন পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার এরপর কোলাঘাট থানায় বিষয়টি জানায়। পুলিশের পক্ষ থেকে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। এদিকে ঠিকেদার নুর আলম খাঁনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা শুরু করে মৃতদের পরিবারের লোকজন।
advertisement
অবশেষে ওই তিন যুবকের মৃত্যুর খবরের সত্যতা জানা যায়। অরুনাচল প্রদেশের পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ির মধ্যেই ঘুমনোর সময় অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে বাংলার ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের। অরুনাচল প্রদেশের দিবাং ভ্যালি এলাকায় প্রচণ্ড শীতের কারনে ঘরের মধ্যেই কাঠ জ্বালিয়ে ঘুমিয়েছিল ওই তিনজন। সেই কাঠের ধোঁয়া থেকেই বিষক্রিয়া হয়। বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের শরীরে প্রবেশ করে তিনজনের মৃত্যু হয় বলে অরুনাচল প্রদেশের পুলিশের দাবি। যদিও মৃতদের পরিবার এই দাবি মানতে নারাজ। তাঁরা এই মৃত্যুর তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে দ্রুত ফিরে পাওয়ার জন্য রাজ্য প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন।
সৈকত শী