দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে সেই মাছ বিক্রি করে প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা পেয়েছেন ট্রলার মালিক রামনগরের বাসিন্দা তপন দাস। দিন কয়েক আগে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল তাঁর ট্রলার 'বিশ্বেশ্বরী'৷ ফেরার আগে বৃহস্পতিবার রাতে গভীর সমুদ্রে শেষবার জাল ফেলেন ট্রলারের মৎস্যজীবীরা। জাল তুলতেই উঠে আসে তেলিয়া ভোলার ঝাঁক।
আরও পড়ুন Birbhum News : হারিয়ে গিয়ে ফিরে এল সিউড়ির শিশু! ১৩ কিমি দূরে মিলল খোঁজ
advertisement
শঙ্করপুরে এসে পৌঁছায় ট্রলারটি। মেপে দেখা যায়, ২২টি মাছের ওজন ৪২১ কিলোগ্রাম। তার মধ্যে ২টি মাছের ওজন হয় ৬১ কেজি, ৬টির ১৩৭ কেজি আর বাকি ১৪টির ওজন দাঁড়ায় ২২৩ কেজি। দিঘা মোহনায় কার্তিক বেরার আড়তে মাছগুলি নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ছড়িয়ে পড়ে খবর। স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকরাও এসে ভিড় জমান মাছগুলিকে দেখার জন্য। দীর্ঘ দরদামের পর ৬১ কেজি ওজনের দুটি মাছ ২২ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে এবং ১৩৭ কেজি ওজনের ৬টি মাছ ৬ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে কিনে নেয় কেএমপি সংস্থা। ২২৩ কেজি ওজনের বাকি ১৪টি মাছ ৪ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে কিনে নেয় এসএফটি সংস্থা। সব মিলিয়ে মোট ৩১ লক্ষ ৮১ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি হয় ২২টি মাছ।
এ বছর মরশুমে শুরু থেকে সেভাবে ইলিশ মাছ ধরা না পড়ায় কার্যত হতাশা প্রকাশ করেছিল ট্রলার মালিক থেকে মৎস্যজীবীরা। উৎসব আবহে একটি ট্রলার বাইশটি তেলিয়া ভোলা মাছ পড়ায় সেই হতাশা কিছুটা কাটল। লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি হওয়া তেলিয়া মাছ ঘিরে কার্যত উৎসবের আবহাওয়া দীঘা মোহনায় মৎস্যজীবীদের মধ্যে।
Saikat Shee