প্রসঙ্গত, গরমের কারণে রাজ্য ৪৫ দিনের স্কুলের ছুটি ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি সেই ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আবারও ১১ দিনের জন্য স্কুল ছুটির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে শিক্ষা দফতর। টানা স্কুল ছুটিতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছাত্র ছাত্রীদের বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন। স্কুল ছুটি নিয়ে ক্ষোভ ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক মহলে। বিগত দু'বছর করোনা কালে বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। ফেব্রুয়ারী থেকে সামান্য ক'দিন ক্লাস হওয়ার পর আবার এই বাড়তি ছুটি। বার বার একটানা স্কুল বন্ধ থাকায় ছাত্র ছাত্রীরা ভুলতে বসেছে শ্রেণীকক্ষের পঠন পাঠন। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষৎ। মূলত গরীব সাধারণ পরিবারের ছাত্র ছাত্রীরা শিক্ষার আলো থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। বার বার স্কুল বন্ধের প্রতিবাদে রাস্তায় নামল শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষার পরেও মেলেনি চাকরি, এমএ পাশ তন্ময় এখন লটারিওয়ালা, ভাইরাল তাঁর সংগ্রাম...
এ দিন একশ-এর বেশী শিক্ষক শিক্ষাকর্মী মানিকতলার মোড়ে জড়ো হয়ে মিছিল করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এবং শহীদ মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশে বিক্ষোভ সভা সংগঠিত করে। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন জেলা সম্পাদক স্বপন কুমার ভৌমিক, রাজ্য সহ সভাপতি তপন জানা, শেখর রঞ্জন মাইতি,সমিত করণ,গুরুপ্রসাদ জানা, উদ্দিপ্ত পাল প্রমুখ।
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির সম্পাদক স্বপন কুমার ভৌমিক বলেন, 'দীর্ঘ করোনাকালীন দু'বছর পঠন পাঠন বন্ধ ছিল। আবার স্কুল খুলতে না খুলতেই ৪৫ দিনের গ্রীষ্মের ছুটি এবং সর্বশেষ ১১ দিনের অতিরিক্ত ছুটি চূড়ান্ত অনৈতিক। গরীব সাধারণ পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার হীন পরিকল্পনা আমরা মনে করি। আমাদের আশঙ্কা যে সরকার আগামী দিনে সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা বেসরকারি ব্যক্তি মালিকানার হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। যা পিপিপি মডেল এর মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। আবার এখন আবহাওয়া স্বাভাবিক। ফলে অবিলম্বে স্কুল খুলে দেওয়ার দাবি জানাই। প্রসঙ্গত স্কুল ছুটি নিয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষজন সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
Saikat Shee