তমলুকের শ্রীরামপুর এলাকার বছর তিরিশের শেখ আজিমুদ্দিনের মামা বাড়ি বালেশ্বরে। মৃত মামার দেহ সৎকার করার পর মামা বাড়ি থেকে কেরালায় যাচ্ছিলেন আজিমুদ্দিন। শ্রমিকের কাজে যাওয়ার জন্য বালেশ্বর স্টেশনে থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন। ট্রেনে ওঠার সময় স্টেশনেই বোনের সঙ্গে শেষ কথা হয়। ট্রেনে ওঠার কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পরেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস।
advertisement
আরও পড়ুন: কেউ হকার, কেউ পরিযায়ী শ্রমিক! এক রাতেই ছিন্নভিন্ন বাংলার বহু পরিবার
এরপর এই খবর জানাজানি হতেই মৃত যুবককে বাড়ি থেকে ফোন করা হয়। কিন্তু ফোন ধরেনি কেউ। এরপর বালেশ্বর থেকে ফোন করে আজিমুদ্দিনের পরিবারকে তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত কাকদ্বীপের ২জন! হাহাকার সুন্দরবনে
খবর পাওয়া মাত্রই দুর্ঘটনার স্থলে রওনা দেয় তার আত্মীয় পরিজনরা । ঘটনাস্থলেই আজিম উদ্দিনের মৃতদেহর খোঁজ পান তারা।
রোজগেরে ছেলের দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর পুরও পরিবারটাই অর্থনৈতিক ভাবে ভেঙে পড়ল। ২ ছেলে ও বাবা মাকে নিয়ে সংসার আজিমউদ্দিনের।
২ ছেলেকে নিয়ে এই মুহুর্তে কীভাবে চলবে সংসার। ভেবে পাচ্ছেন না মৃতের বোন। সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্যের দাবি করেছেন মৃতের পরিবার। এই মুহূর্তে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।