শাররিকভাবে অসুস্থ এই বেকার যুবক মৎস্য অফিসারের সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে শুরু করছে চৌবাচ্চায় মাছ চাষ তার সাথে সাথে বাড়ির পাশের একটি এক বিঘা আয়তনের পরিত্যক্ত পুকুর পরিষ্কার করে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে জৈব পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করছেন। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে আশিষ এখন একজন সফল মাছ চাষি। তবে মাছ চাষে আরোও উদ্যোগ গ্রহনে তৎপর। কম সময়ে আর্থিক স্বাবলম্বী হতে সহায়ক হয়েছে জিওল মাছের চাষ।
advertisement
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় সরকারের বিশাল ঘোষণা! কার্যকর পুরনো পেনশন প্রকল্প, সরাসরি সুবিধা পাবেন
গ্রামে পরিত্যক্ত জমিতে নালা-পুকুর কেটে মাছ চাষ করে তাক লাগিয়েছে। উচ্চ বাজার মূল্য, ব্যাপক চাহিদা ও অত্যন্ত লাভজনক মাগুর ও শিঙ্গির চাষ করেছে। নিজে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। ব্লক মৎস্য দফতরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলে। ই-লার্নিং পদ্ধতিতে ব্লক মৎস্যবিভাগ থেকে প্রশিক্ষন পাচ্ছে। ইতিমধ্যে মৎস্য দফতরের থেকে সরকারি সহায়তায় পেয়েছে জিওল মাছ শিঙ্গি মাছের চারা। তার মাছ চাষের কারণে অনেকেরই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। এছাড়া তার দেখাদেখি ওই এলাকার অনেক বেকার যুবক ও তার বন্ধুরা মাছ চাষ করতে চান। ব্লক মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহুর সহায়তায় তারা গঠন করেছে মৎস্য উৎপাদক গোষ্ঠী।
বেকারত্বের অন্ধকার কাটিয়ে ছেলের এই সাফল্যে খুশি আশিষের মা মানসি মান্না। তিনি বলেন, আশিসের বাবাও বিকলাঙ্গ তবে ব্লক মৎস্য বিভাগের সাহায্যে শারীরিক বাধাকে কাটিয়ে আশিসের কর্মসংস্থানের নতুন দিশা খুঁজে পেয়েছে।আশিষ উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বেকার থাকায় দুঃচিন্তাগ্রস্ত হয়ে চাকরি পিছনে হন্যে হয়ে ছুটাছুটি করে। উচ্চ ডিগ্রী না থাকার কারণে চাকরি না পেয়ে পরে অল্প টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করে মাগুর-শিঙ্গি মাছ চাষ শুরু করেন। তার নিবেদিত কঠোর পরিশ্রমই, সততা আর ঘামের প্রতিফলন সুরভিত হয়ে বেকারত্বের অভিশাপে দ্বার খুলে স্বাবলম্বী হয়েছে। ইচ্ছা ছিল চাকরি করবে। কিন্তু তার আগেই শুরু করেন মাছ চাষ। মাছ চাষ শুরুর পর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রতি বছরই তার পুকুর আর আয়ের পরিমাণ বেড়েই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কর ছাড়ের মহালাভ! ৩১ মার্চের আগে শুধু বিনিয়োগ করতে হবে এই ১০ খাতে!
ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী? এমন প্রশ্নে আশিষ বলেন, আগে চাকরির স্বপ্ন দেখতাম। এখন আর সেই স্বপ্ন দেখিনা। চাকরিও করতে চাই না। এখন আর এসব নিয়ে চিন্তাও করি না। এই মাছ চাষ নিয়েই থাকতে চাই। আগামীতে পুকুরের সংখ্যা আরো বাড়াতে চাই। আশা করি, আগামীতে আরো অনেক পুকুরে মাছ চাষ বাড়াতে পারবো। ব্লকের মৎস্য দফতর থেকে সব রকমের সহায়তা পাচ্ছি।এই বিষয়ে নন্দীগ্রাম - ১ নম্বর ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারন আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, 'আশীষ অক্লান্ত পরিশ্রম করে খামারটি গড়ে তুলেছেন। তাঁর উৎপাদিত মাছের গুণগত মানও ভাল। আমরা তাঁকে সবসময় সহযোগিতা করি। মাছ চাষে তিনি অনেকেরই দৃষ্টান্ত হতে পারেন। মাছ চাষের মাধ্যমে যে এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতিরা মাছ চাষ করে সফলতা অর্জন করতে পারে নিঃসন্দেহে।'
Saikat Shee