এমনিতেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দুর্ঘটনার শতকরা হার বেশি। ফলে স্কুল শুরু ও শেষের সময় ছাত্রছাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে স্কুলের পথে যাতায়াত করে তার জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ থেকে প্রতিদিন স্কুল শুরু ও শেষের সময় স্কুলের সামনের রাস্তায় ট্রাফিক সামলানোর জন্য সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়ন করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে রাস্তা পারাপার করতে পারে তার জন্য এই ব্যবস্থা।
advertisement
আরও পড়ুন ঃ অগাস্ট আন্দোলনের পটভূমিকায় পরাধীন ভারতবর্ষে সাধারণ মানুষের প্রথম স্বাধীন সরকার
ছাত্র-ছাত্রীদের পথ দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচাতে জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এই উদ্যোগে খুশি ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকেরা। অভিভাবকেরা জানান ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়েও দুশ্চিন্তার থেকে মুক্তি হয় না। রাস্তায় দিন দিন গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। স্কুল শুরু ও শেষের সময় রাস্তার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হলে কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তিনটি জাতীয় সড়ক অসংখ্য রাজ্য সড়ক ও গ্রামীণ সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর সংখ্যাও বেশি। ছাত্রছাত্রীদের দুর্ঘটনা হাত থেকে বাঁচাতে জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ থেকে স্কুলে স্কুলে শুরু হয়েছে ট্রাফিক অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্প। এর পাশাপাশি আওয়ার স্কুল শুরু ও শেষের সময় রাস্তায় বাড়তি নজরদারি ট্রাফিকের।
আরও পড়ুন ঃ দিঘার সমুদ্রের এ কী রূপ! ঘুরতে গিয়ে কারও লাভ, কারও মাথায় হাত, অবাক করার দৃশ্য
এমনকি পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় স্কুল বসা ও ছুটির সময় পন্যবাহী ট্রাকের গতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বেশ কিছু এলাকায় পন্যবাহী ট্রাক ঢোকার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে তার জন্য একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
Saikat Shee