আরও পড়ুনঃ
সকালবেলা প্রতিবেশীদেরও সেই কথা বলেছিলেন। পুলিশ প্রথম থেকেই পরিবারের লোকজনকে খুনের ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ করেছিল। যদিও খুনের ঘটনাকে রাজ্যের বিরোধী দল রাজনৈতিক হত্যা বলে দাবি করেছিল। ময়না থানার পুলিশ প্রথম থেকেই এই খুনের ঘটনায় কোন রাজনৈতিক যোগাযোগ খুঁজে পায়নি। পুলিশের আগাগোড়া সন্দেহের তীর ছিল পরিবারের লোকজনের ওপর। পুলিশ খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে মৃতের ভাই ও তার স্ত্রী কে আটক করে। ধৃতদের তমলুক জেলা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ রিমান্ডে নেয় তাদের। তারপরেই তাদের জেরা করে খুনের আসল কারণ জানতে পারে পুলিশ। মূলত পরকীয়া বা অবৈধ সম্পর্কের জেরে ছিল এই খুন। মৃতের স্ত্রীর সঙ্গে দেওরের অবৈধ সম্পর্ক ছিল।
advertisement
আরও পড়ুনঃ
East Medinipur News: সেতুর ওপর বসছে বাজার! কী কাণ্ড তমলুকে!
মৃত কৃষ্ণ পাত্রের সঙ্গে স্ত্রীর ঝামেলা লেগেই থাকত। তাই পথের কাঁটাকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় মৃতের স্ত্রী। সেইমতো ঘুমন্ত অবস্থায় শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে স্বামীকে খুন করে। তাকে সহযোগিতা করে প্রেমিক দেওর বলরাম পাত্র। খুনের পর তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য রক্তমাখা জামা কাপড় বস্তায় করে নদীতে ভাসিয়ে দেয় প্রেমিক দেওর বলরাম পাত্র। এমনকি খাটে লেগে থাকা রক্ত গামছায় মুছে, গামছা কার্নিশের ওপর তুলে রাখে প্রেমিকা বৌদি। খুনে ব্যবহৃত শাবল পুকুরের জলে ফেলে দেয় প্রেমিকা বৌদি। সেই খুনের ঘটনার তদন্তের স্বার্থে পুনর্নির্মাণ করে ময়না থানার পুলিশ। অবৈধ সম্পর্কের জেরে খুনের ঘটনায় পাড়া-প্রতিবেশীরা দুজনের কঠোরতম শাস্তির দাবি করেছেন।