এই মূল রাস্তা দিয়ে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষজনের যাতায়াত। কিন্তু হংরশঙ্কর গ্ৰামের ওপর দিয়ে যাওয়ার প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা বেহাল। তাই এলাকার মানুষরা নতুন করে রাস্তা নির্মাণের দাবীতে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে গ্ৰামীন রাস্তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এমনকি এই বিক্ষোভের জেরে রাস্তা কেটেও বিক্ষোভ দেখতে থাকেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ ভোট আসে ভোট যায়। ভোট হলেই নেতা নেতৃত্বদেরকে দোরগোড়ায় দেখা যায় কিন্তু, সাধারণ মানুষের সমস্যা এলেই তাঁদেরকে আর এলাকায় খুঁজে পাওয়া যায় না।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সংসারের লক্ষ্মীর হাতেই সেজে উঠছেন দেবী লক্ষ্মী
এই রাস্তা এলাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিনিয়ত ওই রাস্তা দিয়েই কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত তার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি স্কুল রয়েছে সেই সমস্ত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা এই রাস্তার উপর দিয়েই যাতায়াত করে। কিন্তু রাস্তার অবস্থা জলাশয় হওয়ার ফলে প্রতিনিয়ত ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। বর্ষায় রাস্তার অবস্থা ভয়ংকর রূপ নেয়, ফলে ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীরা সাইকেল নিয়ে পারাপার করতে ভয় পায়। কয়েক বছর ধরেই এই রাস্তা বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও জেলা পরিষদকে জানিয়েও কোন সুরাহা হচ্ছে না।
আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোর কার্নিভালের রঙে সেজে উঠেছে শহরের রাস্তা ঘাট
প্রসঙ্গত, অষ্টমীর সন্ধ্যায় প্রবল বর্ষণের কারণে ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বাইক নিয়ে পড়ে যায় দুই বাইক আরোহী। এবং তারা আহত হয়। তারপরেই কিন্তু, এলাকাবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে ও বিক্ষোভ দেখায়। পরে বিক্ষোভের শক্তি বাড়ায় ওই গ্ৰামীন রাস্তাকে কেটে বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। প্রধান অশোক পাইক বলেন, রাস্তাটা সত্যিই খারাপ তবে উৎসবের সময় রাস্তা ঘিরে রাখা, রাস্তা কেটে বিক্ষোভ দেখানোটা যুক্তিযুক্ত নয়।
Saikat Shee