পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম এক ব্লকের মৎস্য চাষিরা পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি বাক্স পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। শুধু তাই নয় গ্রামের মহিলারাও এই কাজে এগিয়ে এসেছে। অভিনব প্রযুক্তি পুকুরে মাছ ও জলে ভাসমান বাক্সে কাঁকড়া চাষের প্রসার সারা রাজ্যের মধ্যে প্রথম নন্দীগ্রাম এক ব্লকে। এই ব্লকে গঠিত হয়েছে বিশেষ প্রযুক্তির কাঁকড়া চাষিদের নিয়ে প্রোডাকসান গ্রুপ।
advertisement
আরও পড়ুন: এখনও করাননি PAN-আধার লিঙ্ক? দেখে নিন কী কী সমস্যায় পড়বেন আপনি!
নন্দীগ্রাম-১ ব্লক মৎস্য বিভাগের তৎপরতায় নন্দীগ্রাম এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাঁকড়া চাষিদের নিয়ে গঠিত হয়েছে “বক্স-ক্রাব ফিশ প্রোডাক্সান গ্রুপ”। শুধু দল গঠনই নয়, দলের মৎস্যচাষিদের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে মৎস্যচাষ নিবন্ধন প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এই বক্স-ক্রাব টেকনোলোজিতে মাছের সাথে কাঁকড়ার অভিনব চাষ পদ্ধতি নন্দীগ্রামে বেশ প্রসার ঘটছে। কাঁকড়া চাষিদের সাথে ব্লক মৎস্য দপ্তরের এই নিবিড় যোগাযোগ মাছ চাষিদের খুব উদ্বুদ্ধ করছে। নন্দীগ্রামের সাউদখালি গ্রামের গৃহবধূ মান্টি বেরা বক্স-ক্রাব টেকনোলোজিতে মাছের সাথে কাঁকড়ার অভিনব চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। করছে উপার্জন। সাউদখালির চাষি বুদ্ধদেব জানা, সোনাচূড়ার আশিস পাত্র, কেন্দেমারী গ্রামের শম্ভু মাইতি প্রমুখ চাষিও করছেন বক্স-ক্রাব টেকনোলোজিতে মাছের সাথে কাঁকড়ার অভিনব চাষ।
আরও পড়ুন: ৪০ হাজারের চাকরি ছেড়ে কুলের চাষ করে লক্ষাধিক টাকা লাভ করছেন মধ্যপ্রদেশের যুবক!
কি এই অভিনব বক্স ক্রাব টেকনোলোজি? এই বিষয়ে নন্দীগ্রাম- ১ ব্লক মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, কাঁকড়া চাষের আধুনিক লাভজনক পদ্ধতির নাম ‘বক্স ক্রাব টেকনোলজি’ বা ‘বাক্স-পদ্ধতি’। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ঈষৎ নোনা জলের পুকুরেই মাছ চাষের সঙ্গে বাক্স করে কাঁকড়া চাষ করা যায়। এই পদ্ধতিতে ১০-১২ দিনের পুরুষ কাঁকড়া এবং ২৫-৩০ দিনের মধ্যে স্ত্রী কাকঁড়া চাষ করা যায়। অত্যন্ত লাভজনক এই পদ্ধতি অবলম্বন করেই বর্তমানে এলাকায় কাঁকড়াচাষ এর প্রসার বাড়ছে। “বক্স-ক্রাব ফিশ প্রোডাক্সান\" এই বিশেষ পদ্ধতির লাবজনক চাষে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে, বাড়ির কাজের সঙ্গে সঙ্গে মহিলারাও বাড়তি আয় আনতে পারবে। বর্তমান সময়ে গ্রামের অর্থনীতি ও বেকার যুবক-যুবতীদের বিকল্প উপার্জনের পথ দেখাতে এই অভিনব কাঁকড়া চাষ অত্যন্ত লাভজনক।
Saikat Shee





