১. যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আধারের সঙ্গে লিঙ্ক না করা হয় তবে PAN নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে। তখন কোনও কাজে ওই নম্বর আর ব্যবহার করা যাবে না। সেক্ষেত্রে আয়কর উচ্চ করের হার প্রয়োগ করবে সরকার। টিডিএস-ও বেশি হবে। আয়কর রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব হবে না। ফলে উচ্চ সুদ, জরিমানা এবং এমনকি শাস্তি পর্যন্ত হতে পারে। নির্দিষ্ট আর্থিক লেনদেনের সময় PAN-এর উল্লেখ না করা গেলে জরিমানা হতে পারে।
২. PAN-এর বদলে আধার ব্যবহার করা যাবে না। যদি আধার নম্বরের সঙ্গে PAN যুক্ত থাকে তাহলে আয়কর আইন অনুযায়ী যে কোনও একটি ব্যবহার করা যায়। কিন্তু সংযুক্তি না হলে এই নম্বরগুলি পরস্পরের বিকল্প হতে পারবে না।
৩. ধারা ২৩৪এইচ-এর অধীনে শাস্তিও হতে পারে কোনও নাগরিকের। যদি কোনও ব্যক্তি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আধার ও PAN লিঙ্ক না করতে পারেন তাহলে তাঁকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে৷ আবার লিঙ্ক করার জন্যও ১০০০ টাকা দিতে হবে। একারণে আয়কর রিটার্ন দাখিল না করতে পারলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা হবে।
আধার এবং PAN লিঙ্ক করার সুবিধা—
প্রথমত, PAN- আধার লিঙ্ক করা হলে সরকারের পক্ষে লেনদেনের অডিট করা সহজ হয়। রাজস্ব ফাঁকির বিষয়টি সনাক্ত করা সহজ হয়।
অসদুদ্দেশ্যে কেউ যদি একাধিক PAN ব্যবহার করতে চান এই সংযুক্তির মাধ্যমে তাও ধরা পড়ে যাবে।
দ্বিতীয়ত, আধার-PAN লিঙ্ক করলে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার প্রক্রিয়া সহজ হবে। আয়কর দফতর সহজেই আইটিআর রসিদ পাঠাতে পারবে। আধার ই-ভেরিফিকেশনের করে নিলে ই-স্বাক্ষরেরও প্রয়োজন হবে না।
আধার এবং PAN লিঙ্ক করার পরে, করদাতারা আইটি ওয়েবসাইটে তাঁদের লগইন বিশদ ব্যবহার করে নিজের সমস্ত আইটি লেনদেন পাবেন।
লিঙ্ক করানোর পদ্ধতি:
আদৌ নিজের PAN ও আধার লিঙ্ক করানো রয়েছে কি না তা যাচাই করে নিতে হবে।
আয়কর বিভাগের ই-ফাইলিং পোর্টালে https://incometaxindiaefiling.gov.in/ -এ গিয়ে নিজের PAN ব্যবহার করে লগইন করতে হবে। অথবা রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নিতে হবে। এবার ‘Profile Settings’-এ ‘Link AADHAAR’-এ ক্লিক করতে হবে। এখানে নিজের আধার নম্বর ও নাম লিখতে হবে।