কিন্তু মানুষের সুবিধার কথা মাথায় রেখে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার নির্দেশ দেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রতিটি থানায় সাইবার সংক্রান্ত অভিযোগ মানুষ জানাতে পারবে। এমনিতেই সাইবার সংক্রান্ত মামলার পাহাড় জমে যাওয়ার কারণে জেলা পুলিশের এই সিদ্ধান্ত। তবে, থানায় নথিভুক্ত হওয়া সাইবার প্রতারণা মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে পুলিশ ও সাইবার সংক্রান্ত মামলার অফিসারেরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, 'এখন সাইবার অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে ওটিপি জেনে টাকা হাতানোর ঘটনা বেড়েছে। এ ধরনের ঘটনা থানায় অভিযোগ নেওয়া হবে। প্রতিটি থানায় আর পাঁচটা অপরাধের অভিযোগ জানানোর মতো সাইবার অপরাধের অভিযোগ জানানো যাবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ হাতে পড়ল কি জিনিস! নাকা চেকিং এর সময় চক্ষু চড়ক গাছ পুলিশের
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তমলুক সাইবার থানা ও এসপি অফিসে সাইবার অপরাধের অভিযোগ জমা দিত মানুষজন। দূরত্বের কারণে জেলার এক প্রান্তের মানুষের অসুবিধার সম্মুখীন হয়। সাইবার সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ প্রতিটি থানায় নেওয়া হলে উপকৃত হবে মানুষজন। অনলাইনে আর্থিক প্রতারণার পরিমাণ দু'লক্ষ টাকার বেশি হলে তখন সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ নেওয়া হবে।' তমলুক সাইবার থানায় প্রতি মাসে গড়ে ৩০টি সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়ছে। সেইসব মামলার তদন্ত করতে গিয়ে হাঁসফাঁস অবস্থা সাইবার পুলিশের।
আরও পড়ুনঃ বাজারে নকল ইলিশের ছড়াছড়ি! আসল ইলিশ চিনবেন কী ভাবে? ঠকে যাওয়ার আগে চিনুন!
সম্প্রতি দু'জন এসআইকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সাইবার থানায় যুক্ত করা হয়েছে। আগের চেয়ে সাইবার প্রতারণা বেড়েছে। পুলিশ সুপারের নির্দেশের পরই চণ্ডীপুর, নন্দকুমার, কোলাঘাট, তমলুক সহ বিভিন্ন থানায় সাইবার অপরাধ নথিভুক্ত হচ্ছে। জেলা পুলিশ সুপারের এই নির্দেশের ফলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে বলে মনে করছেন জেলার বাসিন্দারা। নন্দকুমারের বাসিন্দা পেশায় স্কুল শিক্ষক অর্ধেন্দু দাস জানিয়েছেন, 'সাইবার অপরাধীরা অনলাইনে তাদের জাল বিছিয়ে রেখেছে। শিকার হচ্ছি আমরা সাধারণ মানুষ। প্রতিটি সানাই সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগ জানানো গেলে উপকৃত হব আমরা।'
Saikat Shee