TRENDING:

Purba Medinipur: দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে কমেছে আয়, তবুও দেবদেবীর অলঙ্কার তৈরিতে উৎসাহ কমেনি

Last Updated:

প্রতিবছরই রাজ্যের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশে পাড়ি দেয় মায়ের ডাকের গহনা। এই ডাকের সাজের গহনার সঙ্গে বরাবরই সুনাম রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরের ঝুরিয়া গ্রামে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#পটাশপুর : প্রতিবছরই রাজ্যের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশে পাড়ি দেয় মায়ের ডাকের গহনা। এই ডাকের সাজের গহনার সঙ্গে বরাবরই সুনাম রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরের ঝুরিয়া গ্রামে। পূজোর তোড়জোড় শুরু হয়ে গেলেও দ্রবমূলের বাজারে ঝিমিয়ে রয়েছে এই শিল্প। দ্রব্যমূল্যের বাজারে প্রবল অনটনের মধ্যে ডাকের সাজের শিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগরেরা। তবু অভাবকে সঙ্গী করে মায়ের গহনা তৈরি করে চলেছেন ওরা। উমা আসছে গিরি ঘরে, কৈলাসে ভোলানাথের অনুমতি নেওয়া হয়ে গেছে। মায়ের আসার খবর প্রতিনিয়ত দিয়ে চলেছে শরতের আকাশ, শিউলি, কাশ। বাপের বাড়িতে এসে মা সাজবেন রাজ বেশে। গায়ে থাকবে শোলার গহনা, মাথায় সোনার মুকুট।
advertisement

পুরাণের কথা অনুযায়ী হিমালয় কন্যা পার্বতী সঙ্গে দেবাদিদেব মহাদেবের বিয়ে চূড়ান্ত। বিয়েতে সাদা মুকুট পরার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন মহাদেব। দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার ওপর সেই মুকুট তৈরির ভার পড়ল।  মহাদেবের ইচ্ছায় তৈরি হল এক ধরনের নরম উদ্ভিদ। পৃথিবীতে জন্মাল শোলা গাছ। কিন্তু বিপত্তি দেখা দিল অন্য জায়গায়। শোলার মত নরম হালকা সামগ্রী দিয়ে কাজ করতে অভ্যস্ত নন স্বয়ং বিশ্বকর্মা। সেই সমস্যার কথা তিনি জানালেন দেবাদিদেবকে। তখন মহাদেবের ইচ্ছায় জলাশয়ে এক সুকুমার যুবকের আবির্ভাব ঘটল।

advertisement

আরও পড়ুনঃ চাষীদের সুবিধার্থে ড্রোন প্রযুক্তির মাধ্যমে কীটনাশক স্প্রে

মালাকার হিসেবে পরিচিতি পেলেন সেই যুবক। তৈরি হল মহাদেবের শোলার মুকুট। তার থেকেই বিস্তার হয় মালাকার সম্প্রদায়। দেব-দেবীদের ডাকের সাজ তৈরি করেন মালাকারেরা এই ডাকের সাজ কথাটার পেছেনেও একটা গল্প আছে। পলাশির যুদ্ধের পর থেকে কলকাতায় বনেদী বাড়ি গুলিতে বাড়তে থাকে দুর্গাপূজার কালচার। পুজো ঘিরে আত্মিক যোগ ছিল ইউরোপের সঙ্গে। প্রতিমার সাজ আসত জার্মানি থেকে। ডাক মারফত সেই সাজ আসত বলে বলা হত ডাকের সাজ। আজও মালাকার পরিবার দেবদেবীর এই গহনা তৈরি করে আসছেন নিষ্ঠার সঙ্গে।

advertisement

View More

দু'বছর মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে এবার আবার ছন্দে দুর্গাপুজো। তারপর এবার পুজো এবার বিশ্বজনীন। নিঃশ্বাস ফেলার সময় নেই মালাকারদের। লাভ লোকসান গায়ে লাগে না। মাকে সাজানোটাই এক মাত্র নেশা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ নং ব্লকের ঝুরিয়া গ্রামের জয়দেব গিরি একজন শোলা শিল্পী। সারাবছর এই ডাকের শিল্পর সঙ্গে যুক্ত থাকেন। ভালোবাসা থেকেই করেন।কিন্তু লাভের ঘরটা শূন্যই থাকে। রকেট গতিতে বাড়ছে আঠা, চুমকি, শোলার দাম।

advertisement

আরও পড়ুনঃ সাজ সাজ রব, জেলা সফরে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কিভাবে এই ব্যবসা ধরে রাখবেন বুঝে উঠতে পারছেন না কিছুতেই। দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির বাজারে ভাল নেই শিল্পিরা। জিনিসপত্রের দাম যেভাবে হুহু করে বাড়ছে সেভাবে লাভ হচ্ছে না। অনেকটাই মলিন হয়ে গিয়েছে তাদের মুখের হাসি। মায়ের অলঙ্কার তৈরির গর্বটাই আলাদা। টাকা পয়সা এখানে নিমিত্ত মাত্র। তাই লাভ লোকসানের কথা মাথায় না রেখে দেব দেবীর গহনা তৈরি খুব ব্যস্ত শিল্পীরা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
অতিবৃষ্টিতে জলের তলায় বিঘার পর বিঘা কৃষিজমি! ক্ষতিপূরণ নিয়ে বড় আপডেট দিলেন বিডিও
আরও দেখুন

Saikat Shee

বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব মেদিনীপুর/
Purba Medinipur: দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে কমেছে আয়, তবুও দেবদেবীর অলঙ্কার তৈরিতে উৎসাহ কমেনি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল