পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে প্রায় এক হাজারেরও বেশি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ল্যাবরেটরি রয়েছে। মেডিক্যাল বর্জ্য পদার্থ সংগ্রাহক সংস্থার সঙ্গে চুক্তিপত্র থাকলে তবেই স্বাস্থ্য দফতর থেকে ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জন্য ছাড়পত্র মেলে। ডায়গনস্টিক সেন্টারের বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহের রেট দ্বিগুন বাড়িয়ে দেওয়ায় প্রতিবাদ ও ডেপুটেশন জমা দেওয়া হল। হলদিয়া রিজিওনাল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অফিসে ১২ দফা দাবি নিয়ে ডেপুটেশন জমা দিল পূর্ব মেদিনীপুর ডায়াগনস্টিক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশান। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রায় দুশো প্রতিনিধিরা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অফিসের সামনে জমায়েত করে। অফিসের সামনে ঘণ্টাখানেক ধরে স্লোগান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়।
advertisement
আরও পড়ুন- সংস্কার হবে নালা নিকাশি! তবে কী এবার জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে হলদিয়াবাসী?
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ডায়াগনস্টিক সংগঠনের সম্পাদক প্রশান্ত শেখর ভৌমিক বলেন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে মেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহ করে একটাই বেসরকারি সংস্থা। ছোট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বার্ষিক যেখানে বর্জ্য সংগ্রহক সংস্থাকে ১২ হাজার টাকা প্রদান করা হত, এবারে ফি বাড়িয়ে ২৫ হাজারেরও বেশি করা হয়েছে। বড় ডায়াগনস্টিকদের ফি যেখানে বার্ষিক ৩৪ হাজার টাকা ছিল। এবারে সেই ফি বাড়িয়ে ৭০ হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে। এপ্রিল মাস থেকে নুতন রেট ধার্য করা হয়েছে। মে মাস থেকে সেই রেট কার্যকর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- সেতুর ওপর বসছে বাজার! কী কাণ্ড তমলুকে!
এভাবে রেট বাড়ালে রোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ বাড়বে। ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মুক্তি পাল বলেন, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলি বর্জ্য সংগ্রহক সংস্থার কাছ থেকে সার্টিফিকেট জমা না করলে লাইসেন্স পাওয়া যাবে না। তাই সুযোগ বুঝে এভাবে সংস্থা মনোপলি ব্যবসা করতে চায়। হঠাৎ করে একসঙ্গে এত রেট বাড়ানোয় সবাই বিপাকে পড়েছেন। হলদিয়া রিজিওনাল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে ডেপুটেশন দিয়ে বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। যদিও দূষণ পর্ষদ ডেপুটেশনের বিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি।
ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের বক্তব্য, মেডিক্যাল বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহের খরচ না কমালে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ বাড়াতে তারা বাধ্য হবে। সমস্যায় পড়বেন দুঃস্থ পরিবারের রোগীরা।
Saikat Shee