একদিকে অতি বর্ষার জল আরেক দিকে তাঁর দোসর কংসাবতী নদীর জল, একত্রিত হয়ে নষ্ট করেছে চাষাবাদ। ব্যাপকহারে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে পাঁশকুড়ার নস্করদিঘী, জানাবাড়, মাইসোরা, সহ বিস্তীর্ণ এলাকার চাষিদের। শীতকালীন ফুল চাষে লাভের আশায় সদ্যমাত্র ফুলের চারা লাগিয়েছিল চাষিরা, তাও জলের তলায়, গোলাপ, মল্লিকা মুরগাই, গ্ল্যাডিওলাস, গাঁদা সহ বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ একেবারেই জলের তলায় গিয়ে নষ্ট হয়েছে। মুষলধারে বৃষ্টি হলেও চাষের তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি কিন্তু কংসাবতী নদীর জল চাষের জমিতে প্রবেশ করে ব্যাপক হারে ক্ষতি করেছে চাষের।
advertisement
আরও পড়ুন: বেগুন বেগম! চিকেন কিমা দিয়ে বেগুনের এই রান্না খেলে ভুলে যাবেন সর্ষে ইলিশ!
কাঁচা সবজি যেমন উচ্ছে, বেগুন, কুঁদরি, ঝিঙে পটল সহ বিভিন্ন ধরনের ফসল নষ্ট হয়, আর তাতেই মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। আখের জমিতে জমে রয়েছে এক মানুষ জল। কোথাও কোথাও চাষের জমিতে এখনও দাঁড়িয়ে আছে জল। কোথাও জল নামলেও শুকিয়ে নষ্ট হয়েছে গাছ। অন্যান্য বছরে তুলনায় এ বছর বন্যার জলে ব্যাপকহারে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে চাষিদের। ক্ষয়ক্ষতি সামলে নতুনভাবে চাষের জন্য সরকারি অনুদানের আশায় চাতকের মতো তাকিয়ে রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা।
আরও পড়ুন:
শীতকালীন বিভিন্ন সবজি চাষ শুরুর মুখে মার খেল এই অতিভারী বৃষ্টির জমা জলের কারণে।পাঁশকুড়া ব্লকের উর্বর মাটিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ হয়। ধান শাক সবজির পাশাপাশি ফুল চাষের জন্য বিখ্যাত পাঁশকুড়া ব্লক। কিন্তু অসময়ের এই বৃষ্টি পাঁশকুড়ার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের প্রভূত আর্থিক ক্ষতির মুখে ঠেলে দিয়েছে।
SaikatShee