এরপর মহিষাদল রাজ হাইস্কুলে পঠনপাঠন শুরু। ২০২২ সালে উচ্চমাধ্যমিকে দ্বাদশ স্থান অধিকার করেন এই মেধাবী ছাত্রী। পাশাপাশি দশম শ্রেণির পর থেকেই NEET-এর জন্য প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন দেবাঙ্কিতা। তবে শুধু পাঠ্যবই নয়, গল্পের বই পড়তেও ভালোবাসেন দেবাঙ্কিতা। দেবাঙ্কিতার বাবা-বা দুজনেই শিক্ষক। বাবা গণিতের শিক্ষক এবং মা বাংলার শিক্ষক। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখত ডাক্তার হওয়ার। এবার সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে দেবাঙ্কিতার ছেলেবেলা থেকেই মেধাবী এই ছাত্রীটি নিজের অধ্যাবসায়তে কোন খামতি রাখেনি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বিধায়ক না বিরোধী দলনেতা! কে হবেন পুজোর উদ্বোধক? তা নিয়ে ভোটাভুটি ক্লাব সদস্যদের
বাংলা মিডিয়ামের ছাত্রী হয়েও সর্বভারতীয় পরীক্ষায় ভালো ফল করে তাক লাগিয়েছে দেবাঙ্কিতা। তাঁর কথায়, 'ছোটবেলা থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করা। লক্ষ্য স্থির ছিল। মনের জোর আর পরিশ্রম করে গেছি নিয়মিত। ফলাফল কী হবে তা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামায়নি। আমি ছোট থেকেই বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করেছি। অনেকেই বলত বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করলে সর্বভারতীয় পরীক্ষায় ভালো ফল করা যায় না। কিন্তু আমি নিশ্চিত ছিলাম NEET পরীক্ষায় ভালো ফল হবে। তবে এতটা ভালো হবে আশা করিনি।'
আরও পড়ুনঃ চেকের পর চেক বাউন্স! কাঠগড়ায় উপপ্রধান
মহিষাদল গয়েশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা পারমিতা গিরি স্কুলের এই ছাত্রীর সাফল্যে অত্যন্ত খুশি। তিনি বলেন, \"ও খুবই শান্ত। পড়াশোনায় খুব ভালো। মাধ্যমিকেও একাদশ স্থান পেয়েছিল। ওর সাফল্যে অত্যন্ত খুশি। স্কুলের অন্যান্যরাও ওর থেকে অনুপ্রাণিত হবে।\" এদিকে দেবাঙ্কিতার খুশিতে সফল স্থানীয় বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, \"দেবাঙ্কিতা NEET-এ ২২ তম স্থান অধিকার করেছে এবং রাজ্যে তৃতীয় স্থান দখল করেছে। ওর এই সাফল্যে অত্যন্ত খুশি। এভাবেই মহিষাদলের তরুণ প্রজন্ম শিক্ষার আলোর দিকে অগ্রসর হোক। দেবাঙ্কিতার এই সাফল্য আরও অনেককে পথ দেখাবে।\" পড়াশোনার ক্ষেত্রে সাফল্যের হার কিংবা মেধা তালিকায় বারবার শিরোনামে এসেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ছাত্রছাত্রীরা। সেই তালিকায় দেবাঙ্কিতার নামও সংযোজন হল।
Saikat Shee