তিন পরিবারের লোকজনের কথায়, ৭ জুলাই তাঁদের সঙ্গে পরিবারের লোকজনের শেষ যোগাযোগ হয়েছিল । তার পর বহু চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে । কল্পনা ভৌমিকের ছেলে চন্দন ভৌমিক বলেন, ‘‘ ৫ জুলাই দুপুরে আমার মা ও মাসিরা হাওড়া থেকে অমরনাথ স্পেশাল ট্রেনে রওনা দিয়েছিল । ট্রেনে ওঠার পর মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল । একটি ধর্মীয় সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে অমরনাথ গিয়েছিলেন । তার পর আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।’’ কল্পনা বালা ভৌমিকের মেয়ে শীলা ভৌমিক মাইতি বলেন, ‘‘ ৭ জুলাই বিকেলে মায়ের সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়েছে । কোথায় রয়েছে, তা জানার আগেই লাইন কেটে যায় । তারপর থেকে আর যোগাযোগ হয়নি। সকলের ফোনই বন্ধ।’’
advertisement
আরও পড়ুন : শেষ হয়েছে রাজার রাজত্ব, পূর্ণ সম্ভ্রমে পালিত প্রবীণতম রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের শেষকৃত্য
আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে জমিয়ে রান্না প্রতিবাদীদের, চলছে দেদার তাস-ক্যারম-টিভি
২৩ জনের মধ্যে একজন শারীরিক অসুস্থ থাকার জন্য দলের সঙ্গে যেতে পারেননি । তিনি হলেন অমৃতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত অমৃতবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা নারায়ণ চন্দ্র মান্না । নারায়ণ বাবু জানান, ‘‘ ২২ জন একসঙ্গে অমরনাথ দর্শনে গিয়েছেন। এই ২২ জনের মধ্যে রয়েছেন ভোলসারা গ্রামের বাসিন্দা কল্পনাবালা ভৌমিক, আন্দুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণা মন্ডল, এবং মলুবসান গ্রামের বাসিন্দা বন্দনা বাগ । জম্মু-কাশ্মীরের আগের স্টেশন পর্যন্ত রাত্রিতে আমার সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে দলের প্রধানের । তিনি নিশ্চয়ই কোনও বিপদ হলে খবর দিতেন । আর ১৭ দিনের পরেই তো ফেরার কথা । সেই ভাবে রিজার্ভেশন করা রয়েছে ।’’ মোবাইল টাওয়ারের সমস্যাতেই কোনও যোগাযোগ করা হচ্ছে না বলে তাঁর ধারণা । কল্পনা বালা ভৌমিকের মেয়ে শীলা মাইতি মহিষাদল থানায় গিয়ে মায়ের খোঁজ পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।
Saikat Shee