ইমার্জেন্সি রোগীকে দ্রুত ও মসৃণ গতিতে হলদিয়া শিল্পাঞ্চল থেকে কলাতা পৌঁছনোর জন্য গ্রিন করিডর (green corridor) চালু হচ্ছে। হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে কয়েকটি কারখানা পর পর দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এই বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ। এতে দেড় থেকে পৌনে দু'ঘন্টার মধ্যেই হলদিয়া থেকে কলকাতায় রোগীকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রিন করিডোর চালু নিয়ে জেলাশাসক পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছিলেন। সম্প্রতি পুলিশ সুপার ‘ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান’ করে অতিরিক্ত জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে গ্রিন করিডোর চালুর করার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন।
advertisement
গ্রিন করিডোর চালু করার জন্য জেলা পুলিশ থেকে ডিএসপি (ট্রাফিক) প্রদীপকুমার বারিককে এজন্য নোডাল অফিসার করা হয়েছে। সোমবারই তাঁর ফোন নম্বর ও ইমেল শিল্পাঞ্চলের বড় এবং মাঝারি সব কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। হলদিয়া ট্রাফিক গার্ড, মহিষাদল ট্রাফিক, নন্দকুমার ট্রাফিক, তমলুক ট্রাফিক ও কোলাঘাট হাইওয়ে ট্রাফিক গার্ড ডিএসপি এবং ট্রাফিক ইন্সপেক্টরদের নির্দেশ অনুসরণ করে, ইমার্জেন্সি পরিস্থিতিতে ওই রুটে সবকটি ট্রাফিক সিগনাল গ্রিন থাকবে। একই সঙ্গে ডিএসপি (ট্রাফিক) তথা ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানের নোডাল অফিসার ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাফিক হেডকোয়ার্টারকে রাস্তা পরিষ্কার রাখার জন্য বার্তা পাঠাবেন। সব ট্রাফিক গার্ড হোয়াটস অ্যাপে গ্রুপ ফলো করার পাশাপাশি নিজেদের মতামত শেয়ার করবে। সবার সমন্বয়ে এমার্জেন্সি পরিস্থিতিতে অ্যাম্বুলেন্সকে দ্রুত কলকাতা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করাই এই গ্রিন করিডোরের মূল উদ্দেশ্য।
শিল্পাঞ্চল শহর হলদিয়া থেকে কলকাতার মধ্যে গ্রিন করিডোর চালু হওয়ার আগাম খবরে খুশি। শিল্পাঞ্চল শহরের কারখানার শ্রমিকেরা। সম্প্রতি অতীতে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল কারখানায় সহ অন্যান্য কারখানায় বেশ কয়েকবার অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে তার কান্নার শ্রমিকের। এতদিন হলদিয়া থেকে কলকাতা পৌছাতে অ্যাম্বুলেন্সের সময় লেগে যেত প্রায় তিন ঘন্টার বেশি। এবার ইমারজেন্সি পরিস্থিতিতে অ্যাম্বুলেন্স গ্রিন করিডোর পৌঁছে যাবে দেড় থেকে পৌনে দু ঘন্টায়।