TRENDING:

Purba Medinipur: পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাব! আমন ধানের বীজতলা তৈরি করতে বিপাকে চাষিরা

Last Updated:

জুন মাসের পরও জুলাই মাসেও দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাব। পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে চাষবাসের সঙ্গে যুক্ত থাকা মানুষজনেরা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#পূর্ব মেদিনীপুর : জুন মাসের পরও জুলাই মাসেও দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাব। পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে চাষবাসের সঙ্গে যুক্ত থাকা মানুষজনেরা। কেননা বর্ষাকালে রাজ্যজুড়ে আমন ধানের চাষ হয়। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টির ঘাটতির কারণে আমন ধানের বীজতলা তৈরি করতে সমস্যায় পড়েছে জেলায় জেলায় চাষিরা। বাদ যায়নি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চাষযোগ্য জমির পরিমাণ অনেকটাই বেশি। জেলার আশি শতাংশ মানুষজন চাষবাসের সঙ্গে যুক্ত। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আউশ, আমন ও বোরো তিন ধরনের ধান চাষ হয়। মূলত পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আমন ও বোরো ধানের চাষ হয় ব্যাপক পরিমাণে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বৃষ্টির ঘাটতি থাকার কারণে আমন ধানের বীজতলা তৈরি করতে হিমশিম খাচ্ছে চাষিরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রায় পঁচিশ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ২৫ টি ব্লকেই আমন ধানের চাষ হয়ে থাকে। প্রতি হেক্টর জমিতে গড়ে প্রায় তিন হাজার কেজি ধান উৎপাদন হয়। শেষ আমন ধানের মুরশুমে অতিবৃষ্টির জমা জল ও নদী বাঁধ ভেঙে বন্যার কারণে আমন ধান চাষের ক্ষতি হয়।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কৃষি দফতর।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কৃষি দফতর।
advertisement

ফলে গত মুরশুমে ধান উৎপাদন কিছুটা কম হয়। প্রতিবছর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে গড়ে প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপন্ন হয়। কিন্তু চলতি মুরশুমে আমন ধান চাষের শুরু থেকেই বৃষ্টির কারণে সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা। জুন মাসের মত চলতি জুলাই মাসে এদিন পর্যন্ত পূর্ব মেদনীপুর জেলায় প্রায় ৪০ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। বর্ষাকালে বৃষ্টির ঘাটতি থাকার কারণে বাঙালির প্রধান খাদ্য শস্য অর্থাৎ ধান উৎপাদন কিছুটা কম হবে বলে আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞেরা।

advertisement

আরও পড়ুনঃ বেআইনিভাবে খালের মাটি কাটার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিল সেচ দফতর

আমন ধান মূলত বর্ষার জলেই চাষ হয়। বীজ তলা তৈরি থেকে আমন ধানের চারা গাছ রোপন সবেতেই বৃষ্টির জলের প্রয়োজন। কিন্তু খাতা কলমে বর্ষাকাল হলেও জেলায় জেলায় বৃষ্টির অভাব আমন ধান চাষীদের বিপাকে ফেলেছে। আমন ধানের বীজতলা তৈরি নিয়ে পাঁশকুড়ার এক কৃষক জানান, 'বর্ষার শুরুতে বীজতলা তৈরি করতে হয়। কিন্তু বৃষ্টি সেভাবে না হওয়ায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।'

advertisement

View More

আরও পড়ুনঃ শিশুদের দেহে অপুষ্টি মেটাতে ৫৪৫টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল মুরগির বাচ্চা

আমন ধানের বীজতলা তৈরির বিষয় নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শস্য সুরক্ষা আধিকারিক মৃণাল কান্তি বেরা জানান, 'পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। এই সময়টা আমন ধানের বীজতলা তৈরীর সময় ঠিকই। কিন্তু আশা করা যায় বর্ষার স্বাভাবিক বৃষ্টি কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে। জেলা চাষিরা সেই সময় বীজতলা তৈরি করলেও চাষের খুব একটা ক্ষতি হবে না।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুজো শেষ হতেই ঝাঁকে ঝাঁকে পদ্মার ইলিশ! জলের দরে টাটকা মাছ না খেলেই নয়
আরও দেখুন

Saikat Shee

বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব মেদিনীপুর/
Purba Medinipur: পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাব! আমন ধানের বীজতলা তৈরি করতে বিপাকে চাষিরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল