ফলে গত মুরশুমে ধান উৎপাদন কিছুটা কম হয়। প্রতিবছর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে গড়ে প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপন্ন হয়। কিন্তু চলতি মুরশুমে আমন ধান চাষের শুরু থেকেই বৃষ্টির কারণে সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা। জুন মাসের মত চলতি জুলাই মাসে এদিন পর্যন্ত পূর্ব মেদনীপুর জেলায় প্রায় ৪০ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। বর্ষাকালে বৃষ্টির ঘাটতি থাকার কারণে বাঙালির প্রধান খাদ্য শস্য অর্থাৎ ধান উৎপাদন কিছুটা কম হবে বলে আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞেরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বেআইনিভাবে খালের মাটি কাটার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিল সেচ দফতর
আমন ধান মূলত বর্ষার জলেই চাষ হয়। বীজ তলা তৈরি থেকে আমন ধানের চারা গাছ রোপন সবেতেই বৃষ্টির জলের প্রয়োজন। কিন্তু খাতা কলমে বর্ষাকাল হলেও জেলায় জেলায় বৃষ্টির অভাব আমন ধান চাষীদের বিপাকে ফেলেছে। আমন ধানের বীজতলা তৈরি নিয়ে পাঁশকুড়ার এক কৃষক জানান, 'বর্ষার শুরুতে বীজতলা তৈরি করতে হয়। কিন্তু বৃষ্টি সেভাবে না হওয়ায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।'
আরও পড়ুনঃ শিশুদের দেহে অপুষ্টি মেটাতে ৫৪৫টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল মুরগির বাচ্চা
আমন ধানের বীজতলা তৈরির বিষয় নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শস্য সুরক্ষা আধিকারিক মৃণাল কান্তি বেরা জানান, 'পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। এই সময়টা আমন ধানের বীজতলা তৈরীর সময় ঠিকই। কিন্তু আশা করা যায় বর্ষার স্বাভাবিক বৃষ্টি কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে। জেলা চাষিরা সেই সময় বীজতলা তৈরি করলেও চাষের খুব একটা ক্ষতি হবে না।
Saikat Shee