বর্ষাকালে বৃষ্টির ফলে চারপাশ জলবন্দী হয়ে যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় প্রতিটি ব্লকে। এই জলবন্দী হওয়ার কারণ হিসেবে উঠে আসছে দীর্ঘদিন ধরে নিকাশি কাল সেচ খাল সংস্কার না হওয়া। হাল সংস্কারের দাবিতে সাধারণ মানুষ থেকে বিভিন্ন সংগঠন বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে। বেশ কিছু খাল সংস্কার হলেও জেলার অধিকাংশ খাল সংস্কার হয়নি। শীতকালে বোরো ধান চাষে জোয়ারের জলের প্রয়োজন হয়। এই খাল সংস্কার না হওয়ার কারণে একদিকে যেমন বর্ষাকালে জলবন্দী হয়ে পড়ে এলাকা তেমনি শীতকালে জোয়ারে জল আসে না চাষের জমিতে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পঠন পাঠন চালু
তমলুক ব্লকের পায়রা টুঙ্গী খাল রূপনারায়ণ নদের সঙ্গে মিশেছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই খাল সংস্কার না হওয়ার কারণে বদ্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে বর্ষাকালে জল নিকাশি ব্যবস্থা যেমন ভেঙে পড়েছে এলাকার তেমনি আবার শীতকালে নদীর জোয়ারের জল পাওয়া যায় না বোরো ধান চাষের জন্য। এই কাল সংস্কারের দাবিতে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও কৃষক সংগ্রাম কমিটির সদস্যরা বহুবার জেলা প্রশাসন ব্লক প্রশাসন এমনকি সেচ দফতরেও আবেদন জানিয়েছে কিন্তু খাল সংস্কার সেই তিমিরেই রয়ে গেছে।
আরও পড়ুনঃ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় চাইল্ড ম্যারেজ রোধে তৎপর প্রশাসন
একাধিকবার দাবি জানিয়ে মিলে যে শুধু প্রতিশ্রুতি হয়নি পায়রা টুঙ্গী খাল সংস্কার। ফলে সামনে বোরো চাষের মরশুমের জোয়ারে জল পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা কৃষক সংগ্রাম কমিটির। তাই এই খাল দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন তারা। দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে তমলুক পাঁশকুড়া বাস রাস্তা। রাস্তায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। তারপর ঘটনাস্থলে আসে তমলুক থানার আইসি সহ পুলিশ কৃষক সংগ্রাম কমিটির নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে। এরপরই এদিনের মতো রাস্তা অবরোধ কর্মসূচি শেষ করে কৃষক সংগ্রাম কমিটি।
Saikat Shee