এই গ্যাস শরীরে প্রবেশ করার পর কাশি, গলা শুকিয়ে যাওয়া থেকে দমবন্ধ হয়ে আসার মতো শারীরিক কষ্ট হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় মানুষজন। কোলাঘাটের বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁরা খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, রূপনারায়ণ নদের ওপার পাড় হাওড়া জেলায় নতুন জেগে ওঠা চরে ঠিক কোলাঘাটের বিপরীতেই একটি অবৈধ কারখানা গড়ে উঠেছে। সেখানে জমা করা হয়েছে ট্রাকের পর ট্রাক ভরতি করে নিয়ে আসা পুরাতন বাতিল টায়ার।
advertisement
আরও পড়ুন: মল্লারপুরের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মুখ খুললেন মমতা, ক্ষতিপূরণ-সহ বড় ঘোষণা
রাত নামলেই তীব্র তাপমাত্রায় সেই টায়ার পুড়িয়ে তরল পদার্থ বের করা হয়। সেই টায়ার পোড়ার বিষাক্ত ধোঁয়া বাতাসে মিশে নদী পেরিয়ে কোলাঘাটে প্রবেশ করছে। এই বিষাক্ত ধোঁয়া থেকেই প্রাণ ওষ্ঠাগত কোলাঘাটের প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষজনের। এ নিয়ে কোলাঘাটবাসীরা সোস্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার প্রতিশোধ, হাতুড়ে ডাক্তারকে ন্যাড়া করে খুঁটিতে বেঁধে বেধড়ক মার!
স্থানীয় মানুষজন মৌখিক ভাবে প্রশাসনকে জানিয়েছেন বলে জানা যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এরপরও কোনও ভ্রুক্ষেপ না করে প্রতিদিন ওই কারখানায় এই বিপজ্জনক টায়ার পোড়ানো চলছে। এর প্রতিবাদে কোলাঘাটে এক সর্বদলীয় প্রতিবাদ সভা সংগঠিত হয়। নিম্নচাপ আবহ ও বৃষ্টি উপেক্ষা করেই এই সভায় বহু মানুষ জমায়েত হন। একটি কমিটি গঠন করে এর বিরুদ্ধে সংগঠিত আন্দোলন শুরু হল বলে জানান কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জয়মোহন পাল ও সম্পাদক শংকর মালাকার।
সৈকত শী