শ্যামপুর থানার ডিহি মন্ডল ঘাট থেকে রূপনারায়ণ নদে গজিয়ে ওঠা চরে সাদা বালিকাটার জন্য এসেছিল। রূপনারায়ণ নদের চরটি মহিষাদল ব্লকের অমৃতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভোলসারা গ্রামে অবস্থিত। মহিষাদল ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে জেলার বনসৃজন দপ্তরের সহযোগিতায় চরটিতে কয়েক লক্ষাধিক টাকা বায়ে একটি ম্যানগ্রোভ -এর বনসৃজন তৈরি হচ্ছে। সুন্দরী, গরান বিভিন্ন জাতীয় গাছ রোপন করা হচ্ছে। এই গাছগুলি বড় হয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এলাকায় প্রহরীর মত পাহারা দেবে। এলাকায় পান বরোজ বেশি রয়েছে। নদী এলাকায় ঝড়ের সময় প্রতি বছর প্রায়ই পান বরুজগুলি পড়ে যায়এবং ঘরবাড়ির বেশি ক্ষতি হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নেই ওভারব্রিজ! জলমগ্ন রেলের আন্ডারপাস, সমস্যায় মানুষেরা
রাজ্য সরকার সমস্ত দিক চিন্তাভাবনা করে এই এলাকার মানুষজন, ঘরবাড়ি, কৃষি ফসল যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য এই জঙ্গল তৈরীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহিষাদল ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর থেকে রূপনারায়ণ নদের বুক থেকে অবৈধভাবে বালি কাটার বিরুদ্ধে মাইকিং করে প্রচার করা হয়েছিল। এই রূপনারায়ণ নদের চর থেকে বেআইনিভাবে কেউ বা কারা সাদা বালি কেটে বাইরে পাচার করতে পারবেন না। যদি কেউ বালি কেটে পাচার করে বা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাহলে তার বা তাদের জেল ও জরিমানা দু'টোই হতে পারে। কৃষ্ণা রানী ভূঁইয়া নামে একটি মেশিন চালিত ভুটভুটি (নৌকা) বাজেয়াপ্ত করা হয় যার মাঝির নাম রামপ্রসাদ সামন্ত।
আরও পড়ুনঃ আইএফএ-এর অধীনে নার্সারি খেলার জন্য ফুটবল ট্রায়াল তমলুকে
আরও দুটি নৌকার মাঝিদের নাম সুদাম সামন্ত ও নরেন্দ্রনাথ সামন্ত যাদের আটক করা হয়েছে। তিনটি ভুটভুটিসহ মাঝিকে মহিষাদল পুলিশ প্রশাসন গ্রেফতার করেছে। প্রত্যেকের জরিমানা হবে বলে জানিয়েছেন, মহিষাদল ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক চন্দ্রানী ভট্টাচার্য। চলতি মাসের ২২ জুলাই অমৃতবেড়িয়া লকগেটের আরেকটি নৌকার মাঝি তপন শী ধরা পড়ে পুলিশের হাতে। জরিমানা স্বরূপ ২০ হাজার টাকা ভূমি দফতরকে দিয়ে ছাড় পায়।
Saikat Shee