ক্রিসমাস ও নববর্ষ উপলক্ষে দিঘার নানা স্থানে বসেছে বাতিস্তম্ভ, লাগানো হয়েছে নানা রঙের আলো,পার্কের গায়ে পড়ছে রঙের প্রলেপ৷ সেজে উঠেছে ওল্ড দিঘার সৈকতাবাস সংলগ্ন বিশ্ব বাংলা উদ্যান৷ সাজানো হয়েছে দিঘার প্রবেশদ্বারকেও।
advertisement
বড়দিন থেকে ইংরেজি নববর্ষ প্রতি বছরই এ সময় উৎসবে মেতে ওঠে সৈকত শহর দিঘা। পর্যটকদের স্বাগত জানাতে ইতিমধ্যেই শহরজুড়েই শুরু হয়েছে উৎসবের প্রস্তুতি। রবিবার বড়দিন। তার আগে শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে বিচ ম্যারাথন দিয়ে শুরু হয় বছর শেষের উৎসব। এদিন থেকেই পর্যটকের ঢল নেমেছে দিঘা ও সংলগ্ন তাজপুর এবং শঙ্করপুরে। সর্বত্রই হোটেলগুলিতে প্রায় বুকিং শেষ। পরিস্থিতি যা তাতে বলা চলে, বড়দিনের জনজোয়ারে ভেসে উঠেছে সৈকত। ভিড়ের কারণে দিঘা শহরে পা ফেলার জায়গা নেই।
আরও পড়ুন: আপনার আধার কার্ড কি ১০ বছর পুরনো? দ্রুত করুন এই কাজ, ভুগতে পারেন এই সমস্যায়
প্রসঙ্গত, দিঘা-সহ লাগোয়া সব কটি সমুদ্র সৈকতে প্রতি বছর ধুমধাম করে বড়দিন পালন করা হয়। করোনা আবহে গতবছরও বেশ কিছু বিধি পালন করতে হয়েছে। তবে এবছর করোনাবিধি নেই। তার ওপর ইয়াসে বিপর্যস্ত দিঘা ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুরোপুরিভাবে। ফলে এবছর বড়দিনের আনন্দে গা ভাসাতে খামতি রাখেনি পর্যটকরা। উপচে পড়া ভিড়। দিঘায় বড়দিন মানে সমুদ্রস্নানের আনন্দ আর ঝাউবনে পিকনিক। এবার পর্যটকদের জন্য পিকনিকস্পট নির্দিষ্ট করা হতেছে নিউ দিঘার ঢেউসাগর, ওসিয়ানা এবং মেরিনা ঘাট লাগোয়া এলাকায়। পিকিনিক করতে আসা গাড়িগুলিকে হেলিপ্যাড ময়দানের কাছে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বড়দিন ও বর্ষবরণ এর উৎসবে দিঘাকে দূষণমুক্ত করতে উদ্যোগী প্রশাসন। দিঘাকে দূষণ মুক্ত রাখতে জোর দেওয়া হয়েছে পরিবেশবান্ধব পিকনিকের ওপর। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে প্লাস্টিক থার্মোকল ব্যবহারের ওপর। এ জন্য নজরদারি চালাবে বিশেষ দল।এছাড়া, বড়দিন সহ বর্ষ বিদায় ও বরণ পর্বকে ঘিরে প্রতিবারের মতো এবারও সেজে উঠেছে গোটা দিঘা। রঙিন আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়েছে নিউ দিঘার অমরাবতী পার্ক, ঢেউসাগর পার্ক, ওল্ড দিঘার বিশ্ব বাংলা পার্কগুলিকে।
Saikat Shee