অভিযোগ, সৈকতাবাসের নামে ভুয়ো ওয়েব পেজ খুলে সেখানে পর্যটকদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। হুবহু দিঘার সৈকতাবাসের ছবি দিয়ে বুকিং করার বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। আর সেই ফাঁদে পা দিয়ে সৈকতাবাস বুকিং করতে অগ্রিম টাকা দিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন পর্যটকরা। পর্যটকরা নিদির্ষ্ট দিনে সৈকতাবাসে এলে জানতে পারছেন তাঁদের নামে রুম বুক করা নেই। বাধ্য হয়েই কেউ কেউ নতুন করে বুকিং করছেন, আবার কাউকে অন্যত্র হোটেল ভাড়া নিতে হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: সিকিমে ধর্মঘট, খা খা করছে গ্যাংটক! বেড়াতে গিয়ে বেজায় বিপাকে পর্যটকরা
মাস খানেকের মধ্যে এই ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছে। বুধবার সকালে কলকাতার বাসিন্দা অনুরাধা দাশগুপ্ত ও দীপক দাশগুপ্ত নামে দুই প্রবীণ পর্যটকও একই অভিযোগ করেন৷ গত ২ ফেব্রুয়ারি গুগল সার্চ করে দিঘা সৈকতাবাসের নামে একটি রুম বুকিং করেন এবং সেখানে তাঁকে বলা হয় সমস্ত থাকা, খাওয়া ও সুইমিংপুল ব্যবহার বাবদ ১০০০০ টাকা খরচ হবে৷
আরও পড়ুন: শরীর খেলা চালু রাখতে প্রেমিকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিল মা, দিঘার হোটেলেও চলে যৌনতা! তারপর...
সেই হিসেবে তাঁরা অগ্রিম বাবদ ৬ হাজার টাকাও ওই পেজে দেওয়া একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করেন৷ কিন্তু আজ দিঘা পৌঁছে তাঁরা দেখেন, সরকারি ওই অতিথিশালায় তাঁদের নামে কোনও ঘরই বুক করা হয়নি। তাই বেড়াতে এসে সমস্যায় পড়ে যান ওই পর্যটক দম্পতি। সৈকতাবাস কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তাদের নয়৷ দম্পতি বুঝতে পারেন, তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন৷
এই নিয়ে সৈকতাবাস কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই তমলুক সাইবার ক্রাইম অফিসে অভিযোগ দায়ের করেছে। যদি বা এখনও পর্যন্ত এই চক্র ধরা পড়েনি। প্রশ্ন উঠছে, সরকারি- বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত সৈকতাবাসের নামে প্রতারণা চক্র চললেও কেন তা পুলিশ-প্রশাসনের চোখে পড়ল না? বিভিন্ন সময়ে এই অতিথিশালায় উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকরা এসেও ওঠেন৷ বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অতিথিশালা বুকিং করেন৷ তার পরেও এমন ঘটনায় অবাক এবং ক্ষুব্ধ পর্যটকরা৷