TRENDING:

Digha: সৈকতাবাসে ঘর বুক করে সর্বনাশ! দিঘায় এসে মাথায় হাত প্রবীণ দম্পতির

Last Updated:
impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দিঘা: বেড়াতে এসে দিঘা সৈকতাবাসে ঘর বুক করার পরও প্রতারিত হচ্ছেন পর্যটকরা। মিলছে না রুম, শিকার হতে হচ্ছে হয়রানির। অনলাইনে বুকিং করলেও সৈকত আবাসে খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে ওই নামে কোনও বুকিংই নেই। সাইবার অপরাধীদের ফাঁদে পড়ে প্রতারিত হচ্ছেন দিঘায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা। আর সেই প্রতারণা চক্র ছড়িয়েছে দিঘার সরকারি অতিথিশালা সৈকতাবাসে ঘর বুকিংয়ের নাম করে।
সৈকতাবাসে ঘর বুক করার নামে প্রতারণার ফাঁদ।
সৈকতাবাসে ঘর বুক করার নামে প্রতারণার ফাঁদ।
advertisement

অভিযোগ, সৈকতাবাসের নামে ভুয়ো ওয়েব পেজ খুলে সেখানে পর্যটকদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। হুবহু দিঘার সৈকতাবাসের ছবি দিয়ে বুকিং করার বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। আর সেই ফাঁদে পা দিয়ে সৈকতাবাস বুকিং করতে অগ্রিম টাকা দিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন পর্যটকরা। পর্যটকরা নিদির্ষ্ট দিনে সৈকতাবাসে এলে জানতে পারছেন তাঁদের নামে রুম বুক করা নেই। বাধ্য হয়েই কেউ কেউ নতুন করে বুকিং করছেন, আবার কাউকে অন্যত্র হোটেল ভাড়া নিতে হচ্ছে।

advertisement

আরও পড়ুন: সিকিমে ধর্মঘট, খা খা করছে গ্যাংটক! বেড়াতে গিয়ে বেজায় বিপাকে পর্যটকরা

মাস খানেকের মধ্যে এই ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছে। বুধবার সকালে কলকাতার বাসিন্দা অনুরাধা দাশগুপ্ত ও দীপক দাশগুপ্ত নামে দুই প্রবীণ পর্যটকও একই অভিযোগ করেন৷ গত ২ ফেব্রুয়ারি গুগল সার্চ করে দিঘা সৈকতাবাসের নামে একটি রুম বুকিং করেন এবং সেখানে তাঁকে বলা হয় সমস্ত থাকা, খাওয়া ও সুইমিংপুল ব্যবহার বাবদ ১০০০০ টাকা খরচ হবে৷

advertisement

আরও পড়ুন: শরীর খেলা চালু রাখতে প্রেমিকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিল মা, দিঘার হোটেলেও চলে যৌনতা! তারপর...

সেই হিসেবে তাঁরা অগ্রিম বাবদ ৬ হাজার টাকাও ওই পেজে দেওয়া একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করেন৷ কিন্তু আজ দিঘা পৌঁছে তাঁরা দেখেন, সরকারি ওই অতিথিশালায় তাঁদের নামে কোনও ঘরই বুক করা হয়নি। তাই বেড়াতে এসে সমস্যায় পড়ে যান ওই পর্যটক দম্পতি। সৈকতাবাস কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তাদের নয়৷ দম্পতি বুঝতে পারেন, তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন৷

advertisement

এই নিয়ে সৈকতাবাস কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই তমলুক সাইবার ক্রাইম অফিসে অভিযোগ দায়ের করেছে। যদি বা এখনও পর্যন্ত এই চক্র ধরা পড়েনি। প্রশ্ন উঠছে, সরকারি- বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত সৈকতাবাসের নামে প্রতারণা চক্র চললেও কেন তা পুলিশ-প্রশাসনের চোখে পড়ল না? বিভিন্ন সময়ে এই অতিথিশালায় উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকরা এসেও ওঠেন৷ বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অতিথিশালা বুকিং করেন৷ তার পরেও এমন ঘটনায় অবাক এবং ক্ষুব্ধ পর্যটকরা৷

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব মেদিনীপুর/
Digha: সৈকতাবাসে ঘর বুক করে সর্বনাশ! দিঘায় এসে মাথায় হাত প্রবীণ দম্পতির
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল