আরও পড়ুন: হস্তশিল্পের প্রসার ঘটাতে অভিনব উদ্যোগ
দীপান্বিতা অমাবস্যা বা কালীপুজোয় প্রদীপ জ্বালানোর প্রচলন আজকের না, তা বহু প্রাচীন। কিন্তু ধীরে ধীরে দীপান্বিতা অমাবস্যা বা কালীপুজোয় প্রদীপ জ্বালানোর চল বদলে যায়। সেই জায়গা দখল করে রংবেরঙের নানান ইলেকট্রিক লাইট। ঘরে ঘরে বাহারি লাইটের শোভায় প্রদীপের আলো ছিল ক্রমশ মুহ্যমান! কিন্তু আবারও ধীরে ধীরে প্রদীপের শিখা প্রাণ ফিরে পাচ্ছে দীপাবলি উৎসবে। ফলে কুমোর পাড়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে মাটির প্রদীপ তৈরির।
advertisement
নন্দকুমার ব্লকের দক্ষিণ ধলহরা, বেতকল্লা রাউতৌড়ি সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের কুমোর পাড়ায় এই মুহূর্তে প্রদীপ তৈরির ব্যস্ততা। প্রতিবছর দুর্গাপুজোর পর থেকেই মাটির প্রদীপ তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়। এবারে চাহিদা বেশি। তাই দিনরাত খেটেও পর্যাপ্ত যোগান দিয়ে উঠতে পারছেন না মৃৎশিল্পীরা।
প্রদীপ মাঙ্গলিক অর্থে ব্যবহৃত হয়। পুজো পার্বণ বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তাই প্রদীপ প্রজ্জলন করা হয়। একটা সময় দীপান্বিতা অমাবস্যা বা কালীপুজোয় আলো বলতে প্রদীপের আলোকেই বোঝাত। কিন্তু মাঝে রঙবেরঙের বৈদ্যুতিন আলোর রোশনাইয়ে কিছুটা হলেও ফিকে হয়েছিল প্রদীপের আলো। কিন্তু আবারও প্রদীপের আলোর দিকে ঝুঁকছে মানুষ। এ বিষয়ে অদ্বৈত পাল নামে এক কুম্ভকার জানান, ‘আগের তুলনায় কালীপুজোর সময় মাটির প্রদীপের চাহিদা বেড়েছে। রংবেরঙের আলো যতই থাকুক মাটির প্রদীপের বিকল্প কিছু হয় না। তাই মানুষ কালীপুজোর দিন মাটির প্রদীপেই আস্থা রাখছে।’
সৈকত শী