বাক্স পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষের জন্য আলাদা করে জলাশয় বা পুকুরের দরকার পড়ে না। যে পুকুর বা জলাশয়ে মাছ চাষ হয় সেখানেই বাক্সর মাধ্যমে কাঁকড়া চাষ করা যায় সহজেই। অল্পদিনের এই কাঁকড়া চাষ অত্যন্ত লাভজনক। এই বিশেষ চাষ পদ্ধতি বক্স ক্র্যাব টেকনোলোজি নামে পরিচিত। কিন্তু এটা ঠিক কী ?
আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের ভালবাসার পরামর্শ জাতীয় শিক্ষকের
advertisement
বিষয়টি পাঠকদের জন্য ব্যাখ্যা করে নন্দীগ্রাম-১ ব্লক মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, কাঁকড়া চাষের আধুনিক লাভজনক পদ্ধতির নাম ‘বক্স ক্র্যাব টেকনোলজি’ বা ‘বাক্স-পদ্ধতি’। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ঈষৎ নোনা জলের পুকুরে মাছ চাষের সঙ্গেই বাক্স করে কাঁকড়া চাষ করা যায়। এই পদ্ধতিতে ১০-১২ দিনে পুরুষ কাঁকড়া এবং ২৫-৩০ দিনের মধ্যে স্ত্রী কাকঁড়া চাষ করা যায়। অত্যন্ত লাভজনক এই পদ্ধতি অবলম্বন করেই বর্তমানে এলাকায় কাঁকড়াচাষের প্রসার বাড়ছে।
মাছের পাশাপাশি পুকুরে এই পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষ করছেন মৎসচাষি শম্ভু মাইতি। তিনি বলেন, গত চার বছর ধরে কাঁকড়ার ব্যবসা করছি। তবে বাক্স পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষে লাভ অনেক বেশি। চাষের পদ্ধতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি জানান, প্রথমে পুকুরের উপর বাঁশ দিয়ে সাঁকোর মত কাঠামো করতে হবে। মাঝে মাঝে কিছুটা ফাঁক রাখতে হবে। যাতে ওই ফাঁকের মধ্যে মাঝারি মাপের প্লাস্টিকের বাক্স ঝুলিয়ে রাখা যায়। তারপর বড় গর্ত দেওয়া বিশেষ ধরনের প্লাস্টিকের বাক্সের মধ্যে কাঁকড়া-চারা ভরে ওই সাঁকোয় ঝুলিয়ে দিতে হবে। বাক্সগুলি এমনভাবে ঝোলানো থাকবে যাতে পুকুরের জলের মধ্যে ডুবে থাকে। কাঁকড়ার খাবার হিসাবে প্রতিদিন সকালে ও বিকালে মোট দুটি বড় মাপের শুঁটকি মাছ দিতে হবে। এরপর ওই বাক্সের মধ্যেই স্বল্প সময়ে বড় হয়ে কাঁকড়াগুলি বাজারজাত হয়ে উঠবে।
এই বাক্স পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষ করে ইতিমধ্যে গ্রামের বধূদের পাশাপাশি বহু বেকার স্বনির্ভর হওয়ার পথ খুঁজে পেয়েছে। চাইলে আপনিও এই পদ্ধতিতে নিজের রোজগার বাড়াতে পারেন।
সৈকত শী





