পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা হরিপদ দোলাই নিজের বাড়িতেই সফলভাবে পান প্রক্রিয়াকরণ করে বাজারজাত করছেন। পান প্রক্রিয়াকরণ করে তা থেকে গুঁড়ো পান, পানের শরবত, পান থেকে চা তৈরি করে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছেন তিনি। প্রথমে পানের বরজ বা বাজার থেকে পান সংগ্রহ করতে হবে। তারপর পানপাতা থেকে ডাঁটা বাদ দেওয়া হয়। পান পাতা থেকে ডাঁটা বাদ দেওয়ার পর পরিষ্কার জলে ফেলে চলে পানপাতার শুদ্ধিকরণ। এরপরে পানপাতা যায় হিট চেম্বারে। হিট চেম্বারে ট্রেতে পানপাতাকে বিছিয়ে দেওয়া হয়। ট্রে হিট চেম্বারে দশ থেকে পনের মিনিট রাখা হয়। তারপর বের করে এনে পানকে গুঁড়ো করা হয়। এইভাবে চলে পানপাতার প্রক্রিয়াকরণ। এই কাজের মাধ্যমে পান সহজে নষ্ট হয়ে যায় না। এমনকি পানের পুষ্টিগুণ’ও একই থাকে, তা ধ্বংস হয় না। এর ফলে পান অনেক বেশি দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। যা পানকে কেন্দ্র করে ব্যবসার পরিমাণ অনেকটা বাড়িয়ে দেবে।
advertisement
আরও পড়ুন: ফিরে তাকায়নি কেউ, দল বেঁধে রাস্তা সারাই করলেন গ্রামবাসীরা
পান এর এই সফল প্রক্রিয়াকরণে বিষয়ে হরিপদ দোলাই জানান, তাঁর বাড়িতেই পানের বরজ আছে। কিন্তু বর্ষার সময় প্রচুর পান নষ্ট হয়। সেই থেকে চিন্তা ছিল পান নষ্ট না করে কীভাবে বাজারজাত করা যায়। তিনি চা পাতার মতই পানকে হিট চেম্বারে ফেলে প্রক্রিয়াকরণ করা শুরু করেন। প্রথম প্রথম ঠিকঠাক না হলেও হাল ছেড়ে দেননি। বেশ কয়েকবার চেষ্টা করার পর সফল হন। বর্তমানে তাঁর এই কাজকে স্বীকৃতি দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও ফুড সেফটি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। পানের এই প্রক্রিয়াকরণ আগামী দিনে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে বলে মনে করেন তিনি।
পূর্ব মেদিনীপুর: সমুদ্র উপকূলবর্তী এই জেলার উন্নতম অর্থকারী ফসল পান। মূলত পান কাঁচা ফসল হিসেবেই বাজারে বিক্রি হয়। কারণ পানের বরজ থেকে পান তুলে নেওয়ার পর দু-তিন দিনের মধ্যেই তা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে পানকে দ্রুত বাজারজাত করতে হয়। কিন্তু এবার প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে পান তিন মাস পর্যন্ত নানান উপায়ে সংরক্ষণ করার কাজ শুরু হয়েছে। আর এই প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতি পান চাষে নতুন দিশা দেখাচ্ছে। এর ফলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হচ্ছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা হরিপদ দোলাই নিজের বাড়িতেই সফলভাবে পান প্রক্রিয়াকরণ করে বাজারজাত করছেন। পান প্রক্রিয়াকরণ করে তা থেকে গুঁড়ো পান, পানের শরবত, পান থেকে চা তৈরি করে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছেন তিনি। প্রথমে পানের বরজ বা বাজার থেকে পান সংগ্রহ করতে হবে। তারপর পানপাতা থেকে ডাঁটা বাদ দেওয়া হয়। পান পাতা থেকে ডাঁটা বাদ দেওয়ার পর পরিষ্কার জলে ফেলে চলে পানপাতার শুদ্ধিকরণ। এরপরে পানপাতা যায় হিট চেম্বারে। হিট চেম্বারে ট্রেতে পানপাতাকে বিছিয়ে দেওয়া হয়। ট্রে হিট চেম্বারে দশ থেকে পনের মিনিট রাখা হয়। তারপর বের করে এনে পানকে গুঁড়ো করা হয়। এইভাবে চলে পানপাতার প্রক্রিয়াকরণ। এই কাজের মাধ্যমে পান সহজে নষ্ট হয়ে যায় না। এমনকি পানের পুষ্টিগুণ’ও একই থাকে, তা ধ্বংস হয় না। এর ফলে পান অনেক বেশি দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। যা পানকে কেন্দ্র করে ব্যবসার পরিমাণ অনেকটা বাড়িয়ে দেবে।
পান এর এই সফল প্রক্রিয়াকরণে বিষয়ে হরিপদ দোলাই জানান, তাঁর বাড়িতেই পানের বরজ আছে। কিন্তু বর্ষার সময় প্রচুর পান নষ্ট হয়। সেই থেকে চিন্তা ছিল পান নষ্ট না করে কীভাবে বাজারজাত করা যায়। তিনি চা পাতার মতই পানকে হিট চেম্বারে ফেলে প্রক্রিয়াকরণ করা শুরু করেন। প্রথম প্রথম ঠিকঠাক না হলেও হাল ছেড়ে দেননি। বেশ কয়েকবার চেষ্টা করার পর সফল হন। বর্তমানে তাঁর এই কাজকে স্বীকৃতি দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও ফুড সেফটি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। পানের এই প্রক্রিয়াকরণ আগামী দিনে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে বলে মনে করেন তিনি।
সৈকত শী





