আরও পড়ুনঃ মাছ ভেবে জলে ফেলল জাল, ভারী এ কী উঠে এল, দেখেই চক্ষু চড়কগাছ সকলের
এগরার খাদিকুল থেকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নীলগঞ্জ অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছে বহু মানুষ। খাদিকুলে অবৈধ বাজি কারখানা বিস্ফোরণের পরই নড়েচড়ে বসে রাজ্য প্রশাসন। জেলায় জেলায় বাজি কারিগর ও বাজি ব্যবসায়ীদের ওপর নজর রাখে প্রশাসন। এমনকী বন্ধ করে দেওয়া হয় বাজি কারখানা। বাজেয়াপ্ত করা হয় কাঁচামাল ও মজুত হওয়া আতশবাজি-সহ শব্দবাজি। কিন্তু আতশবাজির সঙ্গে যুক্ত মানুষজনেরা পেশা হারিয়ে সংসার চালাতে অক্ষম। জেলায় বাজি পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকা মানুষের কথা ভেবে মহিষাদলের চিঙ্গুড়মারি এলাকায় সরকারি উদ্যোগে প্রস্তাবিত বাজি কারখানার জায়গা পরিদর্শন করেছে প্রশাসন। কিন্তু কবে এই উদ্যোগ বাস্তাবিত হবে তা সময়ই বলবে।
advertisement
অন্যদিকে বাজি কারখানা বন্ধ হওয়ায় একদিকে যেমন পেশা হারিয়েছেন বাজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকা বহু মানুষ। তেমনি আরেক দিকে বিশ্বকর্মা পুজো থেকে বাঙালির উৎসবের মরশুমে আতশবাজির জোগান পাওয়া যাবে না বলে অভিমত প্রকাশ করেন ওইসব বাজি কারিগরেরা। প্রশাসনের নির্দেশে বন্ধ হয়ে যায় বাজি তৈরি এবং বিক্রিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাজি তৈরি ও বাজি বিক্রির সঙ্গে যুক্ত মানুষজনদের বিকল্প কাজের সন্ধানে চাইছেন। তাঁরা চায় রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুসারে দ্রুত গড়ে উঠুক বাজি হাব। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন ব্লকের বিভিন্ন জায়গার বহু বাজি তৈরি ও বাজি বিক্রির সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা আগামী দিনে কবে গড়ে উঠবে সরকারি উদ্যোগে বাজি কারখানা সেইদিকেই তাকিয়ে আছে।
Saikat Shee