পাঁশকুড়া ব্লকের ঝিকুরিয়ার বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের মহিলা সন্ধ্যারানী ঘোড়াই। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে পেটের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন। তাঁর পেট ফুলে উঠেছিল সন্তানসম্ভবা মহিলাদের মতো। পেটের ভেতর বেড়ে উঠছিল বৃহৎ আকৃতির টিউমার। ফলে চিকিৎসার জন্য বহু জায়গায় ঘুরেও মুক্তি পাননি তিনি। দিন যত এগোচ্ছিল যন্ত্রণার পরিমাণ তত বাড়ছিল। যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন ডাক্তার চেম্বার ও হাসপাতাল ঘুরেও সুরাহা হয়নি। সব ডাক্তারবাবুরাই জানিয়েছিলেন এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে হলে অপারেশনের প্রয়োজন। কিন্তু সন্ধ্যাদেবীর শারীরিক স্থিতিশীলতা অস্ত্রপচারের উপযোগী নয়। ফলে একসময় সন্ধ্যারানী ঘোড়াই নিজের বাঁচার আশাটুকু ছেড়ে দিয়েছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন : শীতের আগেই ফুলকপির অধিক ফলন! আশাবাদী পুরুলিয়া কৃষি দফতর
আরও পড়ুন : পুতুল কথা বলছে! সমাজ সচেতনতার বার্তা দিতে নয়া উদ্যোগ জলপাইগুড়িতে
অবশেষে পাঁশকুড়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসা করাতে এসে দীর্ঘদিনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেলেন ওই মহিলা। ওই নার্সিংহোমের স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অভিষেক দাসের তত্ত্বাবধানে সফল অস্ত্রপচারে সুস্থ হলেন তিনি। সন্ধ্যারানী ঘোড়াই নামে ওই মহিলার পেট থেকে বের হল সাড়ে পাঁচ কেজি বেশি ওজনের একটি বৃহৎ আকৃতির টিউমার। ওই বেসরকারি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, 'ওই মহিলার উচ্চ রক্তচাপ থাকায় অপারেশন করা সম্ভবপর ছিল না। রক্তচাপ স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে এসে অপারেশন সম্ভব হল। অপারেশন না হলে ওই মহিলার প্রাণ সংশয় ঘটত।'
Saikat Shee