ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক চন্দ্রানী ভট্টাচার্য জানান 'অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। পুকুরটির আয়তন প্রায় ৪৫ ডেসিমলের বেশি রয়েছে। দাগ নং ৮৭০, জে.এল নং ১১২। পুকুরের মালিক শ্যামল দাস। তিনি স্বীকার করে নেন কোনও অনুমতি না নিয়ে পুকুর ভারতের কাজ রাতের অন্ধকারে করা হয়েছে।' পুকুরের মালিক শ্যামল দাসকে তিন দিনের সময় দিয়েছেন মহিষাদল ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক। তিনি নির্দেশ দেন পুকুরটি পূর্বে যে অবস্থায় ছিল, সেই অবস্থায় ফিরে দেবার জন্য। যদি না করেন তাহলে শ্যামল দাসের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা যায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সাঁকো নির্মাণের দাবিতে রাস্তা অবরোধ
মহিষাদল ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক চন্দ্রানী ভট্টাচার্য জানান, কোনও ব্যক্তি জলাভূমিকে বাস্তুতে এবং বাস্তুকে জলাভূমিতে শ্রেণী পরিবর্তন করতে ভূমি দফতর থেকে অনুমতি নিতে হয়। অনুমতি না নিয়ে কোনও ব্যক্তি কোন জায়গার শ্রেণী পরিবর্তন করতে পারে না।' ভূমি সংস্কার দফতরের অনুমতি না নিয়ে পুকুর ভরাট করতে গিয়ে বিপাকে পড়ল মহিষাদলের গড় কমলপুরের বাসিন্দা দাস ও তার ভাইয়েরা।
আরও পড়ুনঃ রূপনারায়ণ নদের বুকে অবৈধ বালি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রশাসনের
দীর্ঘদিনের ব্যবহার্য পুকুর ভরাটের প্রসঙ্গে মহিষাদল রাজ কলেজের জীববিদ্যা বিভাগের হেড ড: শুভময় দাস বলেন, 'হঠাৎ কোন জলাভূমিকে বাস্তুতে পরিবর্তন করলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে।' জেলার মৎস্য আধিকারিক সুরেন্দ্রনাথ জানা জানিয়েছেন, 'জলাভূমি বা পুকুর কে ভরাট করা যাবে না। এতে মৎস্যপ্রাণীজগতের প্রচুর ক্ষতি হবে। কোন ব্যক্তি নিজের খেয়াল মত জলাভূমিকে বাস্তুতে পরিবর্তন করতে পারেন না।'
Saikat Shee