TRENDING:

Purba Medinipur: ব্যক্তিগত পুকুর ভরাট করতে গিয়ে বিপাকে মহিষাদলের এক ব্যক্তি!

Last Updated:

মহিষাদল রবীন্দ্র পাঠাগারের সামনে হলদিয়াগামী বাস রাস্তার পাশে যাত্রী বিশ্রামাগারের পিছনে কয়েক পূর্বপুরুষের ব্যবহার করা একটি পুকুর বেআইনিভাবে রাতের অন্ধকারে ভরাটের কাজ চলছিল।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#পূর্ব মেদিনীপুর : মহিষাদল রবীন্দ্র পাঠাগারের সামনে হলদিয়াগামী বাস রাস্তার পাশে যাত্রী বিশ্রামাগারের পিছনে কয়েক পূর্বপুরুষের ব্যবহার করা একটি পুকুর বেআইনিভাবে রাতের অন্ধকারে ভরাটের কাজ চলছিল। পুকুরটি দীর্ঘদিনের পুরাতন। আয়তন প্রায় এক বিঘা। জল জমির উপর খনন করা হয়েছিল। পুকুরে স্নান করার জন্য পুরানো দিনের বড় ঘাট রয়েছে। মহিষাদল ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক এবং জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর থেকে কোন অনুমতি না নিয়ে বেআইনিভাবে রাতের অন্ধকারে জেসিবি মেশিন দিয়ে গেঁওখালি পি. এইচ মাঠ থেকে মাটি ডাম্পারে করে এনে ভরাটের কাজ চলছে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ এইভাবে ব্যবহারিক পুকুরকে রাতের অন্ধকারে ভরাট করার কাজ চলছিল। রাতের অন্ধকারে পুকুর ভরাটে বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানায় গড় কমলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রদীপ কুমার জানা। তিনি জানান, রাতের অন্ধকারে সবার অলক্ষে অন্য জায়গা থেকে মাটি এনে পুকুর ভরাটের কাজ করত পুকুরের মালিক শ্যামল দাস সহ অন্যান্য শরিকগণ। ৩০ জুলাই শনিবার বেআইনি পুকুর ভরাটের অভিযোগ পেয়ে সরজমিনে তদন্ত করতে যান মহিষাদল ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক চন্দ্রানী ভট্টাচার্য। সঙ্গে ছিলেন সরকারি সার্ভেয়ার (আমিন) চঞ্চল মাইতি সহ অন্যান্য অফিসারগণ।
মহিষাদল ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর 
মহিষাদল ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর 
advertisement

ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক চন্দ্রানী ভট্টাচার্য জানান 'অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। পুকুরটির আয়তন প্রায় ৪৫ ডেসিমলের বেশি রয়েছে। দাগ নং ৮৭০, জে.এল নং ১১২। পুকুরের মালিক শ্যামল দাস। তিনি স্বীকার করে নেন কোনও অনুমতি না নিয়ে পুকুর ভারতের কাজ রাতের অন্ধকারে করা হয়েছে।' পুকুরের মালিক শ্যামল দাসকে তিন দিনের সময় দিয়েছেন মহিষাদল ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক। তিনি নির্দেশ দেন পুকুরটি পূর্বে যে অবস্থায় ছিল, সেই অবস্থায় ফিরে দেবার জন্য। যদি না করেন তাহলে শ্যামল দাসের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা যায়।

advertisement

আরও পড়ুনঃ সাঁকো নির্মাণের দাবিতে রাস্তা অবরোধ

মহিষাদল ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক চন্দ্রানী ভট্টাচার্য জানান, কোনও ব্যক্তি জলাভূমিকে বাস্তুতে এবং বাস্তুকে জলাভূমিতে শ্রেণী পরিবর্তন করতে ভূমি দফতর থেকে অনুমতি নিতে হয়। অনুমতি না নিয়ে কোনও ব্যক্তি কোন জায়গার শ্রেণী পরিবর্তন করতে পারে না।' ভূমি সংস্কার দফতরের অনুমতি না নিয়ে পুকুর ভরাট করতে গিয়ে বিপাকে পড়ল মহিষাদলের গড় কমলপুরের বাসিন্দা দাস ও তার ভাইয়েরা।

advertisement

View More

আরও পড়ুনঃ রূপনারায়ণ নদের বুকে অবৈধ বালি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রশাসনের

দীর্ঘদিনের ব্যবহার্য পুকুর ভরাটের প্রসঙ্গে মহিষাদল রাজ কলেজের জীববিদ্যা বিভাগের হেড ড: শুভময় দাস বলেন, 'হঠাৎ কোন জলাভূমিকে বাস্তুতে পরিবর্তন করলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে।' জেলার মৎস্য আধিকারিক সুরেন্দ্রনাথ জানা জানিয়েছেন, 'জলাভূমি বা পুকুর কে ভরাট করা যাবে না। এতে মৎস্যপ্রাণীজগতের প্রচুর ক্ষতি হবে। কোন ব্যক্তি নিজের খেয়াল মত জলাভূমিকে বাস্তুতে পরিবর্তন করতে পারেন না।'

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
'আসছে বছর আবার হবে'! দিঘার সমুদ্রে বিলীন দেবী দুর্গা, ঢেউয়ের গর্জনে মিশল বিদায়ের সুর
আরও দেখুন

Saikat Shee

বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব মেদিনীপুর/
Purba Medinipur: ব্যক্তিগত পুকুর ভরাট করতে গিয়ে বিপাকে মহিষাদলের এক ব্যক্তি!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল