এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংস্থার সভাপতি ড. অসীম কুমার মান্না। দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সম্পাদক ড. রামচন্দ্র মন্ডল(East Medinipur News)। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন শান্তিরাম দাস, ড. প্রবালকান্তি হাজরা, অমলেন্দু বিকাশ জানা, বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক, প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন স্বপন কুমার মন্ডল, ড. বিষ্ণুপদ জানা, অনিমেষ ঘোষ, দীপক পড়্যা, সরোজ আচার্য প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। এছাড়াও ছিলেন খেজুরী, নন্দীগ্ৰাম, কাঁথির বহু সংস্কৃতি অনুরাগী গুণীজন। বক্তারা সকলেই ভারতে টেলিগ্ৰাফ ব্যবস্থা প্রবর্তন ও এক্ষেত্রে কলকাতা থেকে খেজুরী টেলিগ্ৰাফ লাইন সূচনার তাৎপর্য ইত্যাদি তুলে ধরেন।
advertisement
সংস্থার সম্পাদক সুদর্শন সেন জানান, ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতীয় যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে দ্রুত সংবাদ আদান প্রদানের ক্ষেত্রে টেলিগ্ৰাফ পদ্ধতির প্রচলন ছিল একটি ঐতিহাসিক ঘটনা (East Medinipur News)। সেই গৌরবোজ্জ্বল ঘটনার সাক্ষী, খেজুরীর ঐতিহাসিক ডাক ও তার ঘরটির প্রাঙ্গণে তাই এই ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এই বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে খেজুরী ডাক ও তার ঘরের ছবি সম্বলিত স্মারক একটি পোস্টকার্ডও প্রকাশ করা হয় আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে।
প্রসঙ্গত, ভারতের গভর্নর লর্ড ডালহৌসির অনুমোদন প্রাপ্ত হয়ে মেডিকেল কলেজের রসায়ন শাস্ত্রের অধ্যাপক উইলিয়াম ব্রুক ওশাগনেশি (তৎকালীন টেলিগ্ৰাফ বিভাগের সুপারিনটেনডেন্ট ) ১৮৫০ খ্রী: প্রথমে কলকাতা থেকে ডায়মন্ড হারবার ও ১৮৫২ খ্রী: কলকাতা থেকে খেজুরী হয়ে কুঁকড়াহাটি পর্যন্ত ৮২ মাইল টেলিগ্ৰাফ লাইন স্থাপন করেন। ভারতের প্রথম টেলিগ্ৰাফ অফিস খেজুরীতে, কলকাতা থেকে প্রথম ঐতিহাসিক টেলিগ্ৰাফ মেসেজটি ১৮৫২ খ্রী: ৩১ মার্চ পর্যন্ত সফলভাবে মাত্র ৭ মিনিটে প্রেরণ করা সম্ভব হয়।
Saikat Shee