শনিবার সকাল থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরের বিভিন্ন ঘাটে চলে পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ । তাই সকাল থেকেই কাটোয়ার ভাগীরথীর শ্মশান সংলগ্ন ঘাটে উপচে পড়ে মানুষের ভিড়। পিতৃ পুরুষদের তৃপ্ত করতে অনেকেই উপস্থিত হন এদিন এই ঘাটে । যাতে কোনওরম দুর্ঘটনা না ঘটে তারজন্য প্রশাসনিক নজরদারিও রাখা হয় ঘাটে। কিন্তু কদিন আগে যেভাবে বিশাল এক কুমিরের আবির্ভাব হয়েছিল তা যদি এদিন ফের হয় তখন কী হবে এই ভাবনা ছিল অনেকেরই মনে।
advertisement
আরও পড়ুন: ৩৫০ বছর ধরে সাবেক পরিবারের উঠোনে সাত দুর্গার পুজো! কোথায় দেখুন, জানুন ইতিহাস
এই বিষয়ে বর্ধমান থেকে তর্পণ করতে এসে এক ব্যক্তি জানান,তর্পণ এর জন্যই বর্ধমান থেকে এসেছি। সকাল থেকেই বহু মানুষের ভিড় দেখতে পাচ্ছি। কিছুদিন আগে যেহুতু এই ঘাটে ঘড়িয়াল এবং কালনার ভাগীরথীতে কুমির দেখা গিয়েছে,সেই কারণে আমরা সাধারণ মানুষ একটু আতঙ্কেই রয়েছি। তবে আমাদের নিরাপত্তার জন্য কাটোয়ার পুলিশ প্রশাসন রয়েছে এবং কাটোয়া বনদফতরের তরফ থেকে প্রচারও করা হচ্ছে ।
আরও পড়ুন: আকালের মাঝেও পূর্ব বর্ধমানে মিলছে পদ্ম
এদিন কাকভোর থেকে বনদফতরের কর্মীদের নৌকা নিয়ে প্রত্যেক ঘাটে, মাইকিং এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে দেখা যায় । বনদফতরের কাটোয়া রেঞ্জের পক্ষ থেকে ফরেস্ট রেঞ্জার শিব প্রসাদ সিনহা নিজেও, মাইকিং করেন । এরপর ফাটান হয় জলবোমা। কি এই জল বোমা? আসলে এই বোমা নিয়ে আসা হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার একটি গ্রাম থেকে । এই বোমা বারুদ দিয়েই সাধারণ ছোট চকলেট বোমার মতই তৈরি করা হয় । শুধু আকারে একটু বড় এবং বেশি পরিমাণে সুতলির দড়ি ব্যবহার করা হয় যাতে জলে ছুঁড়লে বোমার আগুন না নিভে বিস্ফোরণ হয় ঠিক মত । সুন্দরবন এলাকায় এই বোমার বেশি ব্যবহার হয়।
যেহুতু কাটোয়ার ভাগীরথীর এই শ্মশান ঘাট সংলগ্ন ঘাটে ঘড়িয়াল দেখা গিয়েছিল , সেই কারণে বনদফতরের ধারণা এখনও কুমির থাকলেও থাকতে পারে ।ফলে ভাগীরথীর শ্মশান সংলগ্ন ঘাটে জলবোমা ফাটানর পর বেশ কিছুটা স্বস্তি পান সাধারণ মানুষ।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী