জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সচেতনতা নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে এই দুই সংস্থা। তারই অংশ হল এই ওয়াল আর্ট। ওয়াল আর্টের উপাদান হিসেবে তারা ব্যবহার করেছে কেবলমাত্র ইটের কুচি, কাঠ কয়লা এবং গাছের পাতা। যা দিয়ে দেওয়ালে একের পর এক ছবি ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পী দেবাশিস বালা। দেওয়ালজুড়ে গোপাল ভাঁড় থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কিংবা পরিবেশ ভাবনায় সাইকেলের সঙ্গে সবুজ পৃথিবীর এগিয়ে চলার নানা দৃশ্য ফুটিয়ে তুলছেন এই চিত্রশিল্পীরা। মেমারি পাল্লা রোড পল্লীমঙ্গল সমিতির মাঠের পাঁচিল, সিমেন্টের দেওয়াল যেন হয়ে উঠেছে আস্ত একটা ক্যানভাস। যেখানে ফুটে উঠছে পরিবেশ সচেতনতার সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন ছবি।
advertisement
আরও পড়ুন: চার বছর পর খুলে গেল শিলিগুড়ির একমাত্র সরকারি সুইমিং পুল
সংস্থার সদস্যদের কথায়, বৃষ্টির জলে এই চিত্র ধুয়ে গেলে আবারও ফুটে উঠবে অন্য কোনও বিষয়। রং হিসেবে যা ব্যবহার করা হচ্ছে তা অত্যন্ত সহজলভ্য এবং পরিবেশবান্ধব। এই বিষয়ে শিল্পী দেবাশিস বালা জানান, ইট, কয়লা ও গাছের পাতা ব্যাবহার করে এই সকল ছবি এঁকেছেন। তিনি কোনদিন কোথাও আঁকা শেখেননি। সম্পূর্ণ নিজের দক্ষতায় এই কাজ করছেন।
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই পূর্ব বর্ধমান সাইক্লিং ক্লাব ও সুইচ অন ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সচেতনতার বার্তা সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে দামোদরের তীরে বালি শিল্পকে ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে এবার ওয়াল আর্টের নিদর্শন সকলেরই খুব ভালো লেগেছে।