নবীন বরণ উপলক্ষ্যে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল কলেজে। নাচ গানেরও আসর বসেছিল। আর সেখানেই 'কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া', গানে হাত তুলে নাচতে দেখা গেল কলেজের অধ্যক্ষকে। নাচের সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনুষ্ঠানে ছিলেন অধ্যক্ষ দেবাশিস চক্রবর্তী, মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য, পুরসভার উপ পুরপ্রধান সুপ্রিয় সামন্ত, জেলার পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন, বর্ধমান সদর দক্ষিণের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুপ্রভাত চক্রবর্তী, ওসি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়। আর অনুষ্ঠানে কলেজের পড়ুয়াদের সঙ্গেই নেচে ওঠেন কলেজের অধ্যক্ষ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দিলদার কার! কে পাবে সম্পত্তি! পঞ্চায়েত ভোটে মৃতকে নিয়ে টানাটানি ২ স্ত্রীর
মঞ্চে চলছিল অনুষ্ঠান, আর সেই অনুষ্ঠান চলাকালীন হঠাৎ পড়ুয়াদের একাংশ মঞ্চ সংলগ্ন মাঠে নাচতে শুরু করেন। আর তখনই নিজেকে আর সামলে রাখতে পারেননি অধ্যক্ষ। ছাত্রদের মধ্যে মিশে গিয়ে নাচতে শুরু করেন। দু-হাত তুলে ছাত্রদের সঙ্গে আনন্দে নেচে ওঠেন তিনি। অধ্যক্ষকে নিজেদের মাঝে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে পড়ুয়ারা। অধ্যক্ষকে অন্য রুপে দেখে খুশি হয় পড়ুয়ারা। অনেকে মোবাইলে সেই নাচের ভিডিও ক্যামেরাবন্দিও করেন। সেই ভিডিওই মুখুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
অনেকেই অধ্যক্ষের এই আচরণের নিন্দা করেছেন। যদিও ভিন্নমতও পোষণ করেছেন অনেকেই, অনেকেই অধ্যক্ষের এ ভাবে পড়ুয়াদের মধ্যে মিশে যাওয়াকে কোনও ভুল বলে মানতে নারাজ। অনেকেই মনে করছেন ছাত্রদের সঙ্গে এ ভাবেই যদি মিশে যেতে পারেন শিক্ষকরা, তাহলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মুখী হবে পড়ুয়ারা। শিক্ষকদের সঙ্গে অনেক বেশি সাবলীল ভাবে মিশতে পারবে পড়ুয়ারা। ফলে এটা কোনও অন্যায় নয়। তবে যারা এটাকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করছে তাদেরই বরং লজ্জা হওয়া উচিত।
Malobika Biswas