আরও পড়ুন: জন্মদিন পালন করতে বর্ধমানের সর্পপ্রেমী হাজির বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামে
পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমার হাটকালনা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নিউ মধুবন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই সমস্যার সম্মুখীন। প্রায় এক হাঁটু সমান জল পেরিয়ে স্কুলে আসতে হয় তাদের। এই প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কাজল দে জানান, এই স্কুলটি ২০০৫ সালে অনুমোদন পেয়েছে। ২০০৫ সাল থেকে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ৭০, ৭৫ এমনকি ৮০-ও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু স্কুলের সামনে রাস্তা খারাপ থাকার কারণে ক্রমশই পড়ুয়ার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তার উপর যানবাহনের ব্যাবস্থা নেই, জল কাদা পেরিয়ে আসতে হয়। বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। ২০২৩ সালে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৫-তে। তবে প্রতিদিন ৩০ জনের বেশি স্কুলে আসে না। খারাপ রাস্তার কারণে অভিভাবকরাও সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন বলে প্রধান শিক্ষিকা জানান।
advertisement
অন্যদিকে স্কুলে আসার রাস্তা এতটাই খারাপ যে জুতো পরে ওই রাস্তা দিয়ে কোনভাবেই আসা সম্ভব হয় না। তাই খালি পায়ে জুতো হাতে করে স্কুলে আসতে হয় পড়ুয়াদের। সেই সঙ্গে রাস্তার দু’পাশ জঙ্গলে ঢাকা। ফলে সেখানে সাপের ভয়ে অনেক অভিভাবক বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে চান না। এই প্রসঙ্গে বিনয় সরকার নামে এক অভিভাবক জানান, পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক। বাচ্চাদের বিপদের মুখে ফেলে স্কুলে পাঠাতে চাইছে না কেউ। সেই সঙ্গে স্কুলে পাঠালে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হতে পারে বলেও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্কুলের তরফে একাধিকবার বিডিও অফিসে সমস্যার কথা জানালেও কোন সমাধান মেলেনি। জানা গিয়েছে, একাধিকবার রাস্তা পরিমাপ করে গেলেও তার পর আর কাজ এগোয়নি। দ্রুত এখানকার রাস্তা সারাই না হলে শেষ পর্যন্ত স্কুলটির অস্তিত্ব সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে সেখানকার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আশঙ্কা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী