জানা গিয়েছে, ট্রাক চালক শেখ নজরুলের বাড়ি বর্ধমানের আঞ্জির বাগান এলাকায়। রাজ্য সরকার ফ্রি-তে স্কুলের পড়ুয়াদের যে পাঠ্য পুস্তক দেয়, সেই পাঠ্যপুস্তক তাঁর ট্রাকে লোড ছিল।নির্দিষ্ট জায়গায় সেই বই পৌঁছে দেবার জন্য দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে তিনি ট্রাক চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেইসময় জাতীয় সড়কে কর্তব্যরত জামালপুর থানার পুলিশ কর্মীরা তাঁর পথ আটকায়। পুলিশ কর্মীরা তাঁকে বলে ’নো-এন্ট্রি’ চলছে, ট্রাক নিয়ে যাওয়া যাবে না। ট্রাক নিয়ে যেতে গেলে ৫০০ টাকা দিতে হবে বলে এক পুলিশ কর্মী তাঁকে জানিয়ে দেয়। তখন শেখ নজরুল পুলিশ কর্মীকে বলেন পড়ুয়াদের ফ্রি-তে দেবার সরকারি পাঠ্যপুস্তক তাঁর ট্রাকে লোড রয়েছে। পাশপাশি তিনি ৫০০ টাকা দিতে অস্বীকার করেন । অভিযোগ, তা শুনেই রেগে গিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে, মদ্যপ অবস্থায় থাকা এক পুলিশ আধিকারিক। লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এরপর তিনি জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা করিয়ে মারধরের ঘটনায় জড়িত পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান। তবে সেখানেও বেক পেতে হয় ওই চালককে। জামালপুর থানায় থাকা অফিসার তাঁর অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে, তাঁকে ফিরিয়ে দেন (East Bardhaman News)। এরপরই নজরুল বর্ধমানে এসে জেলার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের পাশাপাশি জেলা পরিষদের সভাধিপতির কাছেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
advertisement
ট্রাক চালক শেখ নজরুল জানান, যিনি তাঁকে মারধর করেছে তিনি পুলিশ অফিসারই ছিলেন। কারণ ওই সময় তাঁকে মারধর করতে দেখে অপর এক পুলিশ কর্মী ওই মদ্যপ পুলিশ কর্মীকে ’স্যার’ বলে সম্বোধন করে মারধর না করার জন্য বারে বারে অনুরোধ করছিলেন। তা সত্ত্বেও ওই মদ্যপ পুলিশ আধিকারিক তাঁকে মারধর করে। অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। তিনি বলেন, ঠিক কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে (East Bardhaman News)। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে।
Malobika Biswas