বর্তমানেও কালনা মহকুমা হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন ১৯ জন রোগী। এই ডেঙ্গু পরিস্থিতির মধ্যে কালনা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা খতিয়ে দেখতে হাজির হন সিএমওএইচ জয়রাম হেমব্রম, ডেপুটি সিএমওএইচ সুবর্ন গোস্বামী-সহ আধিকারিকদের একটি দল।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণী নদীতে ভেঙেছে বাঁধ! বাড়ছে বন্যার আশঙ্কা, আতঙ্কে এলাকাবাসী
advertisement
এদিন পরিদর্শনে এসে কালনা মহকুমা হসপিটালের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন তারা। হাসপাতালের রান্নাঘরে খাবার অঢাকা অবস্থায় থাকায় প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
অন্যদিকে, এইদিন কালনা মহকুমা হাসপাতালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে হাজির হয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার। এই সামগ্রিক বিষয়ে তিনি বলেন, “গ্রামাঞ্চলে হয়ত কিছু জায়গায় বাড়ছে। কিন্তু আমি চেষ্টা করছি যাতে তাদের সচেতন করা যায়। প্রতিটা অফিসার, সব জনপ্রতিনিধি পূর্ব বর্ধমান জেলার আজ থেকে ফিল্ডে নেমেছে। তারা প্রতিটা কোনায় কোনায় পৌঁছে যাবে।”
আরও পড়ুন: রাধাষ্টমী তিথিতে শুরু হল কোচবিহারের বড় দেবীর মূর্তি গড়ার কাজ! রীতি মেনে হল পুজো যজ্ঞ
পাশাপাশি কালনা মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামো এবং ১৯ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের ভর্তি থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, “এটা যেহেতু বর্ডার এলাকা, হুগলি এবং নদিয়া জেলা রয়েছে, সেখান থেকেও অনেকে এসেছেন। আজ কালনা মহকুমা হাসপাতালে দেখলাম। ঠিক মতনই পরিষ্কার রয়েছে। পরিষেবাও ভাল।”
শ্যামাপ্রসন্ন লোহার ছাড়াও এই দিন উপস্থিত ছিলেন কালনা এক নম্বর ব্লকের ভিডিও শ্রাবন্তী বিশ্বাস কান্না-সহ বিশিষ্টজনেরা। দ্রুত এই ডেঙ্গু পরিস্থিতির সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন জেলা সভাপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার। অন্যদিকে এই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সিএমওএইচ জয়রাম হেমব্রম জানান, কিছু সমস্যা রয়েছে যেগুলি দ্রুত সমাধান করা হবে। এখন দেখার বিষয় কবে নাগাদ সারা রাজ্যের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানেও নিয়ন্ত্রণে আসে এই ডেঙ্গু পরিস্থিতি।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী