যে নির্দেশিকায় জানানো হয় স্কুলের পঠনপাঠনের সময়সীমা বাড়িয়ে যাতে অতিরিক্ত ক্লাস করানো যায়। সেই মত পূর্ব বর্ধমান জেলায় বর্ধমান শহরের বিদ্যার্থীভবন বয়স হাইস্কুলে বাড়ানো হয়েছে একটি করে পিরিয়ড । মোট আটটি পিরিয়ডের পরিবর্তে বর্তমানে নয়টি করে পিরিয়ড করানো হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। আর এই পদক্ষেপে খুশি ছাত্ররাও। শিক্ষকদের নির্দেশ অনুযায়ী উৎসাহের সঙ্গে প্রত্যেক পড়ুয়ারা অতিরিক্ত এই ক্লাসের পঠন পাঠন চালিয়ে যাচ্ছে বলে খবর স্কুল সূত্রে।
advertisement
আরও পড়ুন: খুন হয়েছিল মেয়ে, মা সেই থেকে ঘুরছিলেন বিচারের আশায়! এতদিনে খুশি তিনি
এই প্রসঙ্গে বর্ধমান বিদ্যার্থীভবন হাইস্কুল ফর বয়েস এর পক্ষ থেকে পার্থ প্রতীম দেবনাথ জানান, “প্রাক্টিক্যালি এইবছর তাপপ্রবাহর প্রভাব অনেকটাই বেশি ছিল , পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা দফতরের থেকে গরমের ছুটি বর্ধিত করা হয়েছিল ছাত্রদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে । প্রায় দু মাসের কাছাকাছি আমরা গরমের ছুটি পেয়েছি ।
এরপরে ছাত্রদের সিলেবাস শেষ করার ক্ষেত্রে আমাদের পক্ষে একটু সমস্যা হচ্ছিল। কারণ ছুটির কারণে যে সিলেবাস ছিল তা শেষ করানো যায়নি । তার জন্য আমরা সোমবার থেকে শুক্রবার আধঘন্টা করে পিরিয়ড বাড়িয়েছি । আমাদের বিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে এবং আলোচনা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে ৪:৩০ এর জায়গায় ৫ টা সময় ছুটি হবে । আমরা সিলেবাস শেষ না করে পরীক্ষা নেওয়া টাকে যথাযত যুক্তিসঙ্গত বলে মনে করছিলাম না।”
অপরদিকে এই নিয়মের সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে পড়ুয়ারাও। এই প্রসঙ্গে দশম শ্রেণীর ছাত্র সুব্রত দাঁ এর প্রতিক্রিয়া,
“স্কুলে এখন ৪:২৫ অবধি ক্লাস হচ্ছে। কারণ বিগত ২ মাস আমরা গরমের ছুটি পেয়েছি সেই অনুযায়ী আমাদের সিলেবাস এখন অনেকটাই পিছিয়ে আছে , এই কারণে স্কুলের শিক্ষকরা আমাদের ৪:২৫ অবধি ক্লাস করাচ্ছে যাতে আমাদের সিলেবাস টা এগিয়ে থাকে। এর ফলে আমাদের লাভ হয়েছে, অনেকটাই সিলেবাস আমাদের এগিয়ে গিয়েছে ।”
আরও পড়ুন: মাইক্রোওভেন খারাপ, কাস্টমার কেয়ারে ফোন করতেই উধাও ২০ হাজার টাকা!
প্রসঙ্গত গত বছরের ন্যায় এই বছরও প্রচণ্ড গরমের জেরে ছুটির মেয়াদ বাড়াতে বাধ্য হয়েছিল রাজ্য সরকার । যে কারণে ব্যাহত হয়েছিল ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা । পঠন পাঠনের এই ক্ষতি কিভাবে সামাল দেওয়া হবে সেই নিয়ে বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছিল আলোচনা।
এমত অবস্থায় পড়ুয়াদের পড়াশোনার নব রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফে। রাজ্যের প্রতিটি স্কুলকে ছিটি পাঠিয়ে নয়া এই নির্দেশ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল শিক্ষা দপ্তরের তরফে। পরীক্ষা যেহেতু নির্দিষ্ট সময়েই হবে তাই প্রতিটি ক্লাসের সিলেবাস শেষ করার জন্যই এই অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা।