ফলে তাঁতের শাড়ি পোশাক বানিয়েই সংসার চলে এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষের। গ্রামের বেশ কয়েকজন তাঁতি জানান, বংশ পরম্পরায়স হস্তচালিত তাঁতেই কাজ করে অভ্যেস হয়ে গিয়েছে, আর হস্তচালিততে সময় লাগলেও আয় বেশি। তবে যন্ত্রচালিততে খাটনি কম, সময় কম ব্যয় হয় কিন্তু আয় কম।
আরও পড়ুনঃ বর্ধমানের জোতরাম বিদ্যাপীঠে কন্যাশ্রী ক্লাবের উদ্বোধন
advertisement
জানা গিয়েছে, শাড়িতে বা পোশাকে যদি সুক্ষ কাজ করতে হয় তাহলে হস্তচালিতের বিকল্প নেই। কিন্তু প্লেন কোনও নকশা ছাড়া শাড়ি যদি তৈরি করতে হয় তাহলে যন্ত্রচালিত তাঁতই ভালো। সাধারণত সকলের বাড়িতে যন্ত্রচালিত তাঁত নেই। ইচ্ছে থাকলেও বহু তাঁতি কিনতে পারেন না মেশিন। ফলে তাঁতিদের একাংশের দাবি যদি সরকার সকল তাঁতিকে মেশিন দেওয়ার ব্যাবস্হা করে তাহলে খুব উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুনঃ উপপ্রধানকে মারধর ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেফতার ১৫
উল্লেখ্য, কয়েকজন এই পেশাকে আঁকড়ে ধরে আছেন। উচ্চমূল্যের কাঁচামাল আর কমতির দিকে থাকা চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে গিয়ে অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন। পূর্ব পুরুষের রেখে যাওয়া এই পেশার মায়া ত্যাগ করে কাটোয়ার এই তাঁতিদের গ্রামের অনেকেই বেছে নিচ্ছেন অন্য পেশা।
Malobika Biswas