পুলিশ সূত্রে খবর, জাল ড্রাইভিং লাইসেন্সের চক্র সক্রিয় আছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়, সেই অভিযোগ আসছিল অনেক দিন ধরেই (East Bardhaman News)। এই নিয়ে তৎপর হয়েছিল প্রশাসন। এই চক্রের পান্ডা শফিক মোল্লার বাড়ি মেমারীর হরিণডাঙা এলাকায়। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে জাল লাইসেন্স ব্যবহার করে আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচা হত শফিকের নেতৃত্বে। এরপরই নানা সূত্র ধরে জুলফিকার শেখ, সাবির মণ্ডল, হাফিজুল শেখ, ইমানুল মণ্ডল, বিমান মণ্ডল নামে পাঁচজন নিরাপত্তা রক্ষীকেও গ্রেফতার করে তদন্তকারী অফিসাররা। ধৃত জুলফিকারের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট থানার বোচপুরে। ইমানুলের বাড়ি মেমারি থানার হরিণডাঙায়। সাবির থাকে মন্তেশ্বর থানার কুলে গ্রামে। হাফিজুলের বাড়ি কেতুগ্রাম থানার আমবোনায়।
advertisement
অস্ত্র আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধি বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। ধৃত শফিক গ্রেফতার হয় নিজের বাড়ি থেকে। পূর্ব বর্ধমান (East Bardhaman News) ও উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের জাল রবার স্ট্যাম্প পাওয়া গিয়েছে শফিকের কাছ থেকে। এছাড়াও, বাকি ধৃতদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় পাঁচটি জাল লাইসেন্স, পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র, তাজা কার্তুজ, ৩৬ জন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি আধিকারিকের জাল ‘রবার স্ট্যাম্প’ সহ অন্যান্য জাল নথি।
রাজ্য জুড়ে এই জাল লাইসেন্স তৈরির চক্রটি কাজ করে বলে খবর (East Bardhaman News)। আরও অনেকে জড়িত আছে বলেও অনুমান গোয়েন্দাদের। শুক্রবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে, ধৃত ছ’জনকে আটদিন সিআইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম।
Malobika Biswas