আরও পড়ুন: কচুরিপানার চাপে ভেঙে পড়ল বাঁশের সাঁকো!
বনকাপাসি গ্রামের শোলা শিল্পী অভিজিৎ সাহা জানান, ‘এই গ্রামে চারশো পরিবার আছে যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। আমরা মূলত শোলা দিয়ে বাংলা সাজ তৈরি করি। একে ডাকের সাজও অনেক জায়গায় বলা হয়। আমরা শোলা শিল্পী। মোটামুটি বছর ২০-২৫ ধরে আমরা এই কাজ করছি। আমাদের ঠাকুরের সাজটাই মূল। বড় বড় ঠাকুরের সাজ তৈরি করতে পারি অনায়াসে। ছোটখাটো শোলার মূর্তিও আমরা তৈরি করি। যে যেরকম ছবি পাঠায় সেরকম তৈরি করে দিই।’
advertisement
কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পুজোয় শোলাগ্রামের শোলার কাজের চাহিদা ব্যাপক। বনকাপাসির শোলার কাজ পৌঁছেছে মুম্বই, অন্ধপ্রদেশ, বিশাখাপত্তনমের দুর্গাপুজোতেও। পূর্ব বর্ধমান জেলার এই গ্রামের শোলা শিল্পীদের হাতের কাজ সত্যিই অসাধারণ। দুর্গাপুজো আসার অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় এঁদের প্রস্তুতি।
আরেক শোলা শিল্পী অভিজিৎ সাহা বলেন, আমরা দুর্গাপুজোর সাজের প্রস্তুতি শুরু করি চৈত্র মাস থেকে। দুর্গাপুজোর পাশাপাশি কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রস্তুতিও এই সময় চলে।
শোলা শিল্পীরা জানিয়েছেন এবছর বাজার মোটামুটি ভালই আছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী শোলা পাওয়া যাচ্ছে না। শোলার সঙ্কট চলছে। শিল্পীদের দাবি, সেভাবে বৃষ্টি হয়নি। তাই খাল-জলাশয় নষ্ট হয়ে গেছে। যে কারণে শোলা পাওয়া যাচ্ছে না।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী