আসন তৈরি করেই সংসার চালাতে হয় এই পাড়ার প্রায় বাসিন্দাদের। এই আসন তৈরি করতে দীর্ঘ পরিশ্রম করতে হয় শিল্পীদের। ঘণ্টা দুয়েকের একটানা পরিশ্রমে আসনের একটা লম্বা ফালি তৈরি হয়। আসনের এই একটি লম্বা ফালি থেকে তৈরি করা যায় চারটি ছোট আসন। এই কম্বলের আসন মূলত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বা ঠাকুর পুজো করতে প্রয়োজন হয় প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই। চাহিদাও খুব একটা খারাপ নেই আসনের তবে আয় প্রায় নেই বললেই চলে তাই ভবিষ্যত প্রজন্ম আর এই কাজ করতে চাইছে না ।
advertisement
আরও পড়ুন: বাতিল নারকেল মালা দিয়ে তৈরি হয় একতারা! এই ব্যবসা করে মালামাল হয়ে যান
এই আসন কীভাবে তৈরি হয় এই প্রসঙ্গে শিল্পী প্রদীপ ভকত জানান, বিহারের ভেড়ার লোম এখানে অনেকে বিক্রি করতে আসেন। সেগুলো কেনার পর প্রয়োজনীয় কালার অনুযায়ী,ভেড়ার লোম বাছা হয় তিন ভাগে।জল দিয়ে পরিস্কার করে ওই লোম শুকিয়ে ধুনাই করা হয় মেশিনের সাহায্যে। এবার চরকার মাধ্যমে সুতো কাটা হয় এবং ধীরে ধীরে তৈরি করা হয় আসন। শিল্পী প্রদীপ ভকত আরও জানান,আসনের বাজার আগে খুব ভাল ছিল। কিন্তু এখন একটু মন্দা চলছে । এখন বাইরে মাল যায়না।
আরও পড়ুন: নলকূপ থাকলেও মিলত না জল, সরকারি সাহায্যে নয় বাসিন্দারাই করলেন সমাধান
প্রসঙ্গত কিছু কলকাতার মহাজনের চাহিদায় টিকে রয়েছে এই শিল্প । শিল্পীদের আর্জি যদি এই আসন বিক্রির কোনওরকম বিশেষ ব্যবস্থা পাওয়া যায় তাহলে সুনিশ্চিত হতে পারে তাদের রুজি।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী