মন্দিরের কোষাধ্যক্ষ সমর কুমার সিংহ জানিয়েছেন, শতাব্দী প্রাচীন এই মন্দির মহারাজ কীর্তিচাঁদ প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছেন। তারপর থেকে নিত্য পুজো হয় এই মন্দিরে। বিশেষ বিশেষ তিথিতে দেওয়া হয় ছাপ্পান্ন ভোগ। রথযাত্রা উপলক্ষে আয়োজন করা হয় বিশেষ পুজো পাঠের। রথযাত্রার দিনেও দেওয়া হয় ছাপ্পান্ন ভোগ। সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজোপাঠ। স্থানীয় বহু মানুষ জগন্নাথ দেবের উদ্দেশে ভোগ নিবেদন করেন। তার পর দুপুরবেলায় নরনারায়ণ সেবার ব্যবস্থা করা হয়। বিকেলে পিতলের তৈরি রথে বসানো হয় জগন্নাথদেবকে। তারপর রথ জগন্নাথদেবকে নিয়ে রওনা দেয় মাসির বাড়ির দিকে।
advertisement
দুই বর্ধমানবাসীর মনে অগাধ ভক্তি রয়েছে এই জগন্নাথ ধামের প্রতি। জেলার বেশিরভাগ মানুষই যখন পুরী থেকে ঘুরে আসেন, তখনই এই মন্দিরে আসতে ভুলে যান না। পূুণ্য অর্জনের বৃত্ত সম্পূর্ণ করতে প্রায় দিন এই মন্দিরে পা রাখেন মানুষ। প্রত্যেকদিন এখানে জগন্নাথ দেবের আরাধনা করা হয়। নিম কাঠের তৈরি জগন্নাথ মূর্তিটির স্নানযাত্রার দিনে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়। তারপর নিয়ম অনুযায়ী কয়েকটা দিন বন্ধ থাকে মন্দির। ফের রথযাত্রার দিন মন্দির খুলে দেওয়া হয় ভক্তদের জন্য।